গেরুয়া শিবিরের মান ভাঙাতে রাজপথে শোভন-বৈশাখী।

নজরবন্দি ব্যুরো: গেরুয়া শিবিরের মান ভাঙাতে রাজপথে শোভন-বৈশাখী। দীর্ঘ জল্পনা অবসান। সোমবার শেষ পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে দেখা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে উপস্থিত শোভনের বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মিছিল ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। মিছিলে অংশ নিয়েছেন প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক।
গত ৪ জানুয়ারি প্রায় একদম শেষ মুহূ্র্তে এসে মিছিলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যয় । দুজনেই অসুস্থ বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে খবর । তখন দুই নেতার সিদ্ধান্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি, আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা।
গেরুয়া শিবিরের মান ভাঙাতে রাজপথে শোভন-বৈশাখী। রবিবার সন্ধেয় হেস্টিংসে বিজেপির দপ্তরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন তারা। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিনই প্রথমবার সংগঠনের কোনও বৈঠকে হাজির হলেন শোভন। আর তারপরই জানা গেল, দুই পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে সোমবার ফের হবে মিছিল।
যদিও এদিনের এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়, তা এখনও জানা যায়নি। শোভন চট্টোপাধ্যায় শুধু জানান, দলের ডাকে সাড়া দিয়েই হাজির হয়েছেন তিনি। তবে সূত্র মারফত খবর, বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল বনসল, দেবজিৎ সরকার, শঙ্কুদেব পন্ডা, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত-সহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত হন। একুশের নির্বাচনের জন্য কোন রণকৌশল নিয়ে এগোনো উচিত, সে নিয়েই আলোচনা বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার সংগঠনের মিছিলে সোমবার উপস্থিত থাকার কথা শোভন-বৈশাখীর।
গোলপার্ক থেকে মিছিল যাবে সেলিমপুর পর্যন্ত। যদিও দলীয় অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার মিছিল থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চলেছেন দলের অন্যান্য নেতা-নেত্রী। আগামিকাল দক্ষিণ কলকাতাতেই আরেকটি মিছিলের প্রস্তুতিতে গেরুয়া শিবির। বস্তি উন্নয়ন শাখার নামে হতে চলা সেই মিছিলে আবার কারা শামিল হবেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু সেই মিছিলের জন্য পুলিশ এখনও অনুমতি দেয়নি বলেই খবর।