নজরবন্দি ব্যুরোঃ গুজরাত পরিদর্শন করলেও ব্রাত্য মহারাষ্ট্র, টাউকেট নিয়ে শিবসেনা বনাম মোদী। ভয়ঙ্কর সাইক্লোন টাউকেটের তাণ্ডবে তছনচ হয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সহ দেশের পশ্চিম উপকূল। আর আজ হেলিকপ্টারে চরে বিপর্যয়গ্রস্ত গুজরাট পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ১০০০ কোটির অর্থসাহায্যও ঘোষণা করেন। পরে যান দিউ পরিদর্শনে।
আর পড়ুনঃ কেরলে তৈরি নয়া RT-PCR কিট মাত্র ২ ঘণ্টায় দিচ্ছে সম্পূর্ণ নির্ভুল রিপোর্ট।
তবে তিনি যাননি সাইক্লোন বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রে। আর তারপরেই বিজেপি ও মহারাষ্ট্রে শাসনকারী শিবসেনার সংঘাত চরমে পৌঁছয়। মহারাষ্ট্রে না এসে গুজরাটের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি খোঁচা মেরে বলেন, যেহেতু গুজরাটের প্রশাসন দুর্বল, তাই প্রধানমন্ত্রী জানেন বিপর্যয় সামলানোর যোগ্যতা তাদের নেই। তাই ওখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্ব এতই শক্তিশালী, প্রধানমন্ত্রীকেও এই রাজ্যের বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় না।
এর পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপি নেতা রাম কদম অভিযোগ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূল ঘূর্ণিঝড় তওকতের আঘাতে বিপর্যস্ত। তবুও সেরাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে সেখানে পরিদর্শনে যেতে দেখা যায়নি। অথচ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সেখানে গিয়েছিলন পরিদর্শনে। এদিকে দুদিন তাণ্ডব চালিয়ে আপাতত নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে টাউকেট। বুধবার সকালে ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে ভাসমান ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২২-এ।
গুজরাত পরিদর্শন করলেও ব্রাত্য মহারাষ্ট্র, টাউকেট নিয়ে শিবসেনা বনাম মোদী। সোমবার রাতেই গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় সাইক্লোন তওকতে গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। তওকতের প্রভাবে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। এই মুহূর্তে নিম্নচাপের অক্ষরেখাটি রয়েছে দক্ষিণ রাজস্থান ও গুজরাট উপকূলে। তবে তা অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।