নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাঙালিকে বড় সম্মান এনে দিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সাহিত্য অ্যাকাডেমির ফেলো সম্মান পেলেন শীর্ষেন্দু। তবে তিনি শুধু একা নন, তিনি ছাড়াও সাত জন ভারতীয় সাহিত্যিক কে এই সম্মানে ভূষিত করেছে সাহিত্য অ্যাকাডেমি। বাংলায় সাহিত্যিক হিসেবে সুভাষ মুখোপাধ্যায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শঙ্খ ঘোষ-এর পর অনেকদিন বাদে আবার একজন কথাসাহিত্যিক ফেলো নির্বাচিত হলেন। তাঁর এই সম্মান প্রাপ্তিতে আপ্লুত বাংলার সংস্কৃতি মহল।
আরও পড়ুনঃ ভাল ছেলে বাবুল, ‘পুরনো কথা’ ভুলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন কেষ্ট!
১৯৩৫ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ছয়ের দশক থেকেই তাঁর ছোটগল্প বাঙালি পাঠকের মন জয় করে। ১৯৬৭ সালে লেখা ‘ঘূণপোকা’ উপন্যাস তাঁর অন্যতম সৃষ্টি। বড়দের ছটগল্প, উপন্যাসের পাশাপাশি ছোটদের সাহিত্যেও তুমুল জনপ্রিয় শীর্ষেন্দু। তাঁর লেখা, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’, ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘পাগলা সাহেবের কবর’, ‘পটাশগড়ের জঙ্গলে’, ‘পাতালঘর’-এর মতো উপন্যাস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাহিত্য অ্যাকাডেমির ফেলো সম্মান পেলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কিন্তু এর আগেই তিনি অর্জন করেছেন, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার। ১৯৮৯ সালে তাঁর ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য এই সম্মান পান তিনি। এছাড়াও ১৯৮৫ সালে বিদ্যাসাগর পুরস্কার, এবং ১৯৭৩ ও ১৯৯০ সালে আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পাশপাশি ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
সাহিত্য অ্যাকাডেমির ফেলো সম্মান পেলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
তাঁর ফেলো সম্মান প্রাপ্তিতে কবি সুবোধ সরকার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমির সবচেয়ে বড় সম্মানে ভূষিত হলেন আজ। তিনি অকাদেমির “ফেলো” নির্বাচিত হয়েছেন। সঙ্গে আরও সাতটি ভাষা থেকে আরও সাতজন ভারত বিখ্যাত লেখককে সম্মান জানাল সাহিত্য অকাদেমি। যেমন রাসকিন বন্ড আছেন, তেমনি আছেন বালচন্দ্রন নেমাড়ে। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দুদার হাতে অকাদেমি এই সম্মান তুলে দেবে। বাংলায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শঙ্খ ঘোষ-এর পর অনেকদিন বাদে আবার একজন কথাসাহিত্যিক ফেলো নির্বাচিত হলেন। শীর্ষেন্দুদা, আপনার সম্মানে আমরা আজ সম্মানিত।