ফুটবল রাজপুত্রের কফিনের সাথে সেলফি, তীব্র প্রতিকূলতার মুখে সমাধিস্থলের তিন কর্মী

ফুটবল রাজপুত্রের কফিনের সাথে সেলফি, তীব্র প্রতিকূলতার মুখে সমাধিস্থলের তিন কর্মী
ফুটবল রাজপুত্রের কফিনের সাথে সেলফি, তীব্র প্রতিকূলতার মুখে সমাধিস্থলের তিন কর্মী

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ফুটবল রাজপুত্রের কফিনের সাথে সেলফি, তীব্র প্রতিকূলতার মুখে সমাধিস্থলের তিন কর্মী ।গোটা বিশ্ব শোকে মুহ্যমান ফুটবল রাজপুত্র মারাদোনার বিদায়য়ে। কিন্তু বিদায়ের শেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন তিন কর্মী।খোয়া গেল চাকরিও।চিরঘুমে চলে যাওয়া ফুটবলের রাজপুত্রকে বুয়েন্স আইরেসে সমাধিস্ত করার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘটে ঘটনাটা।

আরও পড়ুনঃশুভেন্দু আবহেও বিপুল ভোটে জয়ী মমতা! জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত ‘২১-এর।

কফিনবন্দি মারাদোনার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন সমাধিস্থলে কর্মরত ক্লডিও ফার্নান্ডেজ এবং তাঁর দুই ছেলে ইসমাইল ও দিয়েগো মোলিনা। ছবিতে দেখা যায়, তিনজনের মুখেই হাসি। বুড়ো আঙুল উঁচু করে আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। আর এতেই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন ক্লডিও। শুধু বিতর্কই নয়, আরও করুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দিতে শুরু করেন মারাদোনার ভক্তরা।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে রেডিও স্টেশনে পৌঁছে আমজনতার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করতে হয় ক্লডিওকে। তিনি জানান, মারাদোনা ও তাঁর শালার জন্য তিনি কাজও করেছেন। “তাঁদের কখনও অসম্মান করিনি। আর মারাদোনার প্রয়াণে তাঁকে অশ্রদ্ধা করার তো স্পর্ধা তাঁর নেই। কারণ উনি আমার আদর্শ। আমার ছেলের খুব বেশি বয়স নয়। তাই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভুল করে ফেলেছে। জানি এতে অনেকেরই খারাপ লেগেছে। অনেকেই এভাবে ছবি তোলার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। আমি আন্তরিকভাবে সকলের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হল না। ক্লডিও নিজেই জানান, এই ঘটনার পরই চাকরি খুইয়েছেন তাঁরা। এদিকে, ওই সমাধিস্থলের মালিক জানিয়েছেন, ওঁরা তাঁর অধীনে সরাসরি কাজ করতেন না।

ফুটবল রাজপুত্রের কফিনের সাথে সেলফি, তীব্র প্রতিকূলতার মুখে সমাধিস্থলের তিন কর্মী ।এখানে কাজ করে অন্য সংস্থা থেকে বেতন পেতেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের জেরেই তাঁদের আর কাজে রাখার ঝুঁকি নেয়নি কর্তৃপক্ষ।আর্জেন্টিনায় যখন জোর বিতর্ক তখন মারাদোনার স্মৃতিতে মজে কেরলবাসী। ২০১২ সালে কেরলে গিয়েছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। তিনি যে ঘরটিতে বসেছিলেন, সেটি এবার জাদুঘরে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।