নজরবন্দি ব্যুরোঃ সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি ঈশ্বর। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার পরেও কোন বিতর্ক তার গায়ে লাগেনি। ক্রিকেটের প্রতি তিনি যেমন ছিলেন সৎ ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি সৎ বলেই পরিচিত। তার ক্রিকেট জীবনে ভারতীয় ক্রিকেটের নেমে এসেছে কাল দিন বেটিং।
আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর, মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় ৬ কৃষককে পিষে মারার অভিযোগ
সেখানেও কিন্তু অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম জড়ালেও বিতর্কের আঁচ তিনি তার গায়ে লাগতে দেননি। এহেন বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেটারের নামে এবার জোরালো বেআইনি সম্পত্তি থাকার অভিযোগ। আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিতর্কিত ‘প্যা ন্ডোরা পেপার্স’-এ জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যাধন্ডে Saas International Limited নামে একটি সংস্থার BOs এবং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শচীন, অঞ্জলিরা।
২০১৬ সাল থেকে নাকি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মাস্টার ব্লাস্টার। সংস্থায় ৯টি শেয়ার রয়েছে শচীনের। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি টাকা। অঞ্জলি তেণ্ডুলকরের রয়েছে ১৪টি শেয়ার। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা। আর আনন্দ মেহতার শেয়ার ৫টি। তাঁর শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
তবে এই তথ্যের বিরোধিতা করেছেন শচীনের অ্যাটর্নি। তিনি বলেছেন শচীনের যাবতীয় বিনিয়োগ বৈধ এবং আয়কর বিভাগের কাছে এর প্রতিটির হিসেব রয়েছে।দেশের কর-ব্যববস্থাকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে বিশ্বের প্রভাবশালীরা পুরো অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছেন, বিশ্বজনতার কাছে তুলে ধরাই ওই অভিযানের লক্ষ্য।
এই ’স্টিং অপারেশনের’ উদ্যোক্তা ইন্টারন্যা শনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম-এর পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রভাবশালীদের এই করফাঁকির প্রবণতা বিশ্বে অর্থনৈতিক বৈষম্যের অন্যনতম কারণ। শচীন ছাড়াও ‘প্যা ন্ডোরা পেপার্স’-এ নাম রয়েছে আরও অনেকের।
বেআইনি সম্পত্তির মালিক সস্ত্রীক সচিন!
তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন জর্ডনের রাজা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তার স্ত্রী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিজ এছাড়াও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অনেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং তার পরিবার। যাদের লুকানো সম্পত্তির পরিমাণ লক্ষ লক্ষ ডলার।