বেসুরো রাজীবের অবস্থান কী? ১৬-তেই বিজেপিতে যোগ রাজীবের? বলছেন সৌমিত্র

নজরবন্দি ব্যুরো : বেসুরো রাজীবের অবস্থান কী? বিজেপিতে কবে যোগ দিচ্ছেন? মেলেনি কোনও সদুত্তর। আদৌ কি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন নাকি গড়বেন নিজের ভিন্ন দল? মেলেনি কোনও উত্তর। যদিও ভোটের আবহে শুভেন্দু অধিকারীর পর অন্যতম যদি কোনও নেতাকে নিয়ে কোনও জল্পনা হয়ে থাকে তিনি হলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সভায় গিয়ে একাধিকবার নাম না করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই মন্ত্রী। যদিও দল বদলের হিড়িকে এখনও অবধি তিনি শামিল হননি।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবে নাকচ অধীরের
কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এক নেতার কর্মকান্ড দেখে রীতিমতো অনেকেই বলতে শুরু করেছেন বাংলার সেই বিখ্যাত প্রচলিত কথা, যার বিয়ে তাঁর হুঁশ নেই, পাড়া পরশির ঘুম নেই। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রীতিমতো তিনি জানিয়ে দিলেন যে রাজীববাবু কবে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন। শুক্রবার খানাকুলের পিলখাঁতে কৃষিবিলের সমর্থনে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, “আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে বিজেপিতে যোগদান করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার ফেসবুক লাইভ করবেন বলে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আমি সবসময় সোশ্যাল মিডিয়াকেই আগে রাখি। আগামী ১৬ জানুয়ারি শনিবার ফেসবুক লাইভে আসছি।” আর এরপরেই জল্পনার আগুনে আরও ঘি পড়ে। কয়েকদিন আগেই এক জনসভা থেকে রাজীববাবু বলেন, ‘দলের এমন কিছু নেতা রয়েছেন যারা কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে খান।’
বেসুরো রাজীবের অবস্থান কী? বেসুরো রাজীবের অবস্থান কী? তিনি আরও বলেন, ‘কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলের কিছু নেতা আছে, যাঁরা কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে খায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা কর্মীদের চাকর-বাকর ভাবেন, ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন, কর্মীরাই তাঁদের জবাব দেবেন। কর্মীরাই ওইসব নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করবেন।’