নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিজেপিকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গড়তে সাহায্য করছে ওয়েইসি। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি আসলে কাজ করছেন বিজেপির ( ‘বি’ টিম হয়ে। বিজেপিকে জেতাতে সর্বত্র ছুটে যাবেন তিনি। পরোক্ষে মদত দেবেন হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার প্রক্রিয়াতে । বিহারে তিনিই জিততে সাহায্য করছেন গেরুয়া শিবিরকে। এভাবেই ওয়েইসিকে কটাক্ষ করে তাঁকে কাঠগড়ায় তুললেন বিখ্যাত উর্দু কবি মুনব্বর রানা।
আরও পড়ুনঃ নেই মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারীরা,পাক তালিকা নাকচ ভারতের
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েইসির বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওয়েইসি মুসলিমদের পক্ষে কথা বললেও তাঁর দল বিহারে বিজেপিকে ২২টি আসনে জিততে সাহায্য করেছে। এর মধ্যে এমন ১১টি আসন রয়েছে, যেখানে আরজেডি ও কংগ্রেস সামান্য ব্যবধানে হেরেছে।’’ কেবল বিহার নয়, ২১এর ভোটে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও একইভাবে বিজেপিকে সাহায্য করবেন ওয়েইসি।
একথা স্পষ্ট করে রানা বলেন, ‘‘উনি মহাজোটের হারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একই কৌশল তিনি নেবেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও। ওয়েইসি বিজেপিকে জেতাতে সর্বত্র ছুটে যাবেন। ওদের হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেবেন।’’ এমনকি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনেও ওয়েইসি একই ভূমিকা পালন করবেন বলে দাবি করেন রানা। এদিন রানা ওয়েইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুখে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেও তাঁর দলের কারণেই যে বিজেপি বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে, তা ওয়েইসিও ভাল করেই জানেন।
এমনকী, তিনি খোঁচা দিয়ে এও বলেন, ‘‘ওঁর বাবার কিছুই ছিল না। এখন ওঁরা ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক!’’ কেবল আসাদউদ্দিন নন, তাঁর বাবা ও ভাইকেও কটাক্ষ করেন রানা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুরু থেকেই ওয়েইসিকে পছন্দ করি না। ওঁর বাবাও এরকমই ছিল। আর ওঁর ভাইকে হিন্দুদের থেকেও বেশি ঘৃণা করেন মুসলিমরা।’’ উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এনডিএ ও বিরোধী মহাজোটের মধ্যে।
বিজেপিকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গড়তে সাহায্য করছে ওয়েইসি। এই দুই প্রধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে এআইএমআইএম। আগে থেকেই মনে করা হয়েছিল, তারা যে কোনও ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে ভোট কেটে। ফলপ্রকাশের পরে তেমনটাই হতে দেখা গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই স্বল্প ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে। এআইএমআইএম-এর উপস্থিতি সেখানে দারুণ প্রভাব ফেলেছে।