নজরবন্দি ব্যুরোঃ নতুনদের ভিড়ে অবহেলিত আদি কর্মীরাই, গেরুয়া শিবিরে এই অভিযোগ-অভিমান নতুন নয়। ২১ এর বিধান সভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির থেকে যত নেতা মন্ত্রী গিয়েছেন পদ্মবনে, সঙ্গে গিয়েছেন তাদের অনুগামীরা। ততই অভিযোগ উঠেছিল অতি ভিড়ে নষ্ট হচ্ছে গাজন, কোণঠাসা হচ্ছেন আদি কর্মীরাই।
আরও পড়ুনঃ গুরুত্ব বাড়ছে নতুন মুখেদের, স্মৃতির সঙ্গেই নমোর ক্লোজ সার্কেলে ভুপেন্দ্র-সর্বানন্দ
গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকা দেখে আদি কর্মীদের মধ্যের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছিল রাজ্য জুড়ে। তাঁদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, নতুনদের ভিড়ে অবহেলিত আদি কর্মীরাই। এতবছর ধরে যাঁরা বিজেপি করছেন মনে প্রানে, নতুনদের আগমনে জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাঁদেরই। ধীরে ধীরে দলের সামনের সারি থেকে সরে যাচ্ছেন আদি কর্মীরাই। জায়গায় আসছে নতুন মুখেরা।
নতুনদের ভিড়ে অবহেলিত আদি কর্মীরাই, তবে দিলীপ ঘোষ বলেন পুরোটাই রটনা তৃণমূলের।
এর আগেও এই নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে বহুবার। এবার খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দেখলেন দলের ভেতরের ক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে গিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সাংবাদিক বৈঠক শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বিক্ষোভও।
আদি বিজেপি নেতাদের অভিযোগ দিনের পর দিন মন দিয়ে দলের জন্য কাজ করেছন তাঁরা। অথচ এখন অগ্রভাগে থাকছে অন্য দলথেকে আসা নেতারা, নতুন মুখেরা। তাঁদের অভিমান এতদিনের দলের জন্য কাজের কোন দাম দেয়নি পদ্মবন।
সঙ্গে অভিযোগ করেছেন, এতদিন যাদের চিনতেন, বাড়িতে খেয়েওছেন আজ নতুন মুখের ভিড়ে তাঁদেরই চিনতে পারছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শুধু গোষ্ঠী লড়াই নয়, তাতে যে আদিদের অবহেলা করছেন শীর্ষ নেতারা সেই ক্ষোভও আজ প্রকাশ পেয়ছে।
যদিও এই নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকে ফিরেই তিনি ফের সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা সরকারের রীতিনীতি নিয়ে তুলোধনা করেছেন। সঙ্গে গত কয়েকবছরে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়ে বিজেপি কর্মীরা প্রাণ হারাচ্ছেন, হিংসার স্বীকার হচ্ছেন সেই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।