নজরবন্দি ব্যুরোঃ চাকা গড়ানোর আগেই লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে! দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইকোর্টে যিনি আবেদন করেছিলেন, সেই অজয়কুমার দে-ই এই মামলাটি করেছেন। তাঁর হয়ে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। মামলাকারীর বক্তব্য, কালীপুজো, কার্তিকপুজো বা জগদ্ধাত্রীপুজোর মণ্ডপ ‘নো-এন্ট্রি’ রেখে আদালতের নির্দেশ পালন করতে হলে বুধবার থেকে চালু হতে যাওয়া লোকাল ট্রেনের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ একই পরিবারের দুই শিশু কন্যা সহ পাঁচজন কে হত্যা! চাঞ্চল্য তপনে।
অজয়কুমার দে-র করা মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, যে সব জায়গা বড় পুজোর জন্য বিখ্যাত, কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত সেই সব স্টেশন এবং তার ১০ কিলোমিটার আগে বা পরের স্টেশনে লোকাল ট্রেন দাঁড় করানো যাবে না! পাশাপাশি বলা হয়েছে, শুধু কালীপূজা বা ভাইফোঁটা নয় জগদ্ধাত্রী পুজোতেও যেন একই নির্দেশ দেওয়া হয়!
চাকা গড়ানোর আগেই লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণের জন্যে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আসন্ন উৎসবের দিনগুলোয় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে ক্ষেত্রে অন্তত পুজোর দিনগুলোয় শহরতলির নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে আদালতকে। আমরা ইতিমধ্যেই মামলায় সব পক্ষকে নথি দিয়েছি।”
গত সাত মাস ধরে করোনার জন্য এই পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। প্রায় ২১০ দিন পর বুধবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রায় ২০০ জোড়া লোকাল ট্রেন বিভিন্ন শাখায় চলাচল শুরু করবে। গ্রামাঞ্চল এবং শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভর করেন লোকাল ট্রেনের উপর। তাই লোকাল ট্রেন আবার চলবে এই খুশিতে দিনপঞ্জি সাজাতে শুরু করেছেন গরীব-মধ্যবিত্ত। সেখানে ট্রেন চালু হওয়ার পরেও যদি নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে যদি ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় তা মেনে নেওয়া কঠিন হবে আমজনতার।
সূত্রের খবর লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণের মামলাটি আগামী ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে। কারন কালীপূজোর ছুটির আগে ওইদিন হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ বসবে। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে অজয়কুমার দের করা মামলার শুনানি হবে আগামী পরশু অর্থাৎ লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার ঠিক আগের দিন।