নজরবন্দি ব্যুরোঃ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের নির্বাচন। দলের সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের ডাকা হয়েছে ওই দিনের বৈঠকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেছেন যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা, তাঁদেরকেই ডাকা হয়েছে এদিনের নির্বাচনে। সেই নীতি মেনেই তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে থাকছেন না মুকুল রায়।
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রকৃত প্রতিভাকে অসম্মান করছে কেন্দ্র, কটাক্ষ বিদ্বজ্জনদের
কারণ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে জয়লাভ করেছিলেন মুকুল রায়। নির্বাচনের পর দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র মুকুল রায় নয়, নির্বাচনের পর দলবদল করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এঁদের বিধায়ক পদ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তাঁদেরকেও সাংগঠনিক নির্বাচনে ডাকা হয়নি।
তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে থাকছেন না মুকুল, বাদ ভিন দল থেকে আসা নেতারা

একসময় দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পদে থাকার পদ দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছিলেন মুকুল রায়। পরে দলের সঙ্গে মনমালিন্যের কারণে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। সাড়ে তিন বছর পর আবার ঘর ওয়াপসি হয়েছে মুকুল রায়ের। কিন্তু বেশ কিছু মন্তব্যের কারণে ভরসা করতে পারছে না দল। এবারের রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে নির্বাচন।