নজরবন্দি ব্যুরোঃ ‘পাঠান’ ছবির গান বেশরম রং সামনে আসতেই উঠেছে ‘গেল গেল রব’। দেশ জুড়ে গেরুয়া বিতর্ক যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। রং, রুচি, পোশাক, শালীনতা ইত্যাদি একাধিক বিষয় নিয়ে চলছে কাঁটাছেড়া। দেশের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের একাংশের আপত্তির মূল বিষয় দীপিকার গেরুয়া বিকিনি। তাঁদের দাবি, বাদ দিতে হবে ছবির আপত্তিকর দৃশ্য। না হলে প্রেক্ষাগৃহ জ্বালিয়ে দেওয়া বা ছবি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছে দেশের বিভিন্ন হিন্দুবাদী সংগঠন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, মধ্যপ্রেদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর এবং মুসলিম সংগঠন উলেমা বোর্ড। কিন্তু শুধু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নয়, মুখ খুলেছেন বলি তারকারাও। গলা মেলালেন অভিনেতা মুখেশ খান্না।
আরও পড়ুনঃ পাঠান বিতর্ক অব্যাহত, এবার প্রেক্ষাগৃহ জ্বালিয়ে দেবার হুমকি অযোধ্যার পুরোহিত রাজু দাস মহন্তের
ছোট পর্দার ‘শক্তিমান’ দায়ী করেছেন সিবিএফসি-এর দিকে। এই ছবির গানের দৃশ্য অশ্লীল হওয়া সত্ত্বেও তা পাশ হল কী ভআবে সেটাই মূল প্রশ্ন। মুকেশের কথায়, “এটা কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার প্রসঙ্গ নয়। বরং এটা অশ্লীল। এটা তো স্পেন, সুইডেনের মতো দেশ নয়, যে সব কিছুর অনুমোদন দেবে। আজকে এই স্বল্প পোশাকে দেখা যাচ্ছে। এর পর পোশাক ছাড়াই প্রকাশ্যে আসবে!” সেন্সর বোর্ডকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘‘এই ছবিকে পাশ করানোই উচিত হয়নি। এই গান যুব সম্প্রদায়ের মাথা খারাপ করতে পারে। সেন্সর বোর্ডের কাজই হল কোনও ছবি যেন কারও অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত না পায়, সেটা নিশ্চিত করা”।

‘খারাপ উদ্দেশ্যে’ বানানো ‘পাঠান’ ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির যোগ্য নয়, জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। কিন্তু সেখানেই অভিনেত্রীর বিকিনির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা প্রকাশ রাজ, “নিছকই একটা প্রশ্ন করতে চাই, যখন গেরুয়া পরে ধর্ষকের গলায় মালা পরানো হয় কিংবা, কিছু দালাল বিধায়ক ঘৃণাভরা বক্তৃতা দেন, যখন ওই বসন পরা স্বামীজি দলিত ধর্ষণ করেন, তখন কিছু হয় না? কিন্তু ছবিতে একটা পোশাক নিয়ে যত মাথা ব্যাথা”।
এরপর পোশাক ছাড়াই সামনে আসবে অভিনেত্রীরা, বেশরম রং নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য শক্তিমানের

প্রায় চার বছরের প্রতীক্ষার পর বড় পর্দায় ফিরছেন শাহরুখ খান। কিন্তু বাধার মুখে শাহরুখ-দীপিকার ছবি। বাদ সেধেছে দীপিকার গেরুয়া বিকিনি। ‘বেশরম রং’ ভিডিয়োতে দীপিকাকে কখনও বিকিনি স্যুট পরে, কখনও বা মনোকিনি পোশাকে নানা ভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে। ফলত এই গেরুয়া বিতর্ক যে বক্স অফিসে একটা ছাপ ফেলবে তা বলাই যায়।