নজরবন্দি ব্যুরোঃ একের পর এক দুর্নীতিতে সরাসরি নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। এই মুহুর্তে কারাবাসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিনিয়ত অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতি অভিযোগ তুলে চলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। বৃহস্পতিবার বহরমপুর থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে স্বমেজাজে তোপ দাগলেন সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুনঃ KLO: আত্মসমর্পণ করলেন কৈলাশ, বড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের
তিনি বলেন, যারা খেটে কষ্ট করে জীবন কাটায়, তাঁদের ইচ্ছে ছেলের বিয়ে দেবো, বৌমা আসবে। একটা লোকের জীবন কেটে যায় বাড়ি বানাতে গিয়ে। পরীক্ষা থেকে নিয়োগ সর্বক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর কথায়, কিছু পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায় দোকান খুলেছিল। সেখানে সমস্ত সরকারি পদে টাকার বিনিময়ে চাকরী দেওয়া হত।

বর্ষীয়ান বাম নেতার কথায়, পঞ্চায়েত সদস্য হলে ৩ টি করে চাকরি পাবে। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানরা ৫ টি করে চাকরি। বিধায়করা ২০ থেকে ২৫ টা করে, সাংসদরা ৫০ টি করে চাকরি করবে। তাঁরা সেই চাকরি নিলাম করত। ২০১৩ সাল থেকে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের তরফে বলা হচ্ছে দুর্নীতি হয়েছে। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাকামি করে বলছে পার্থটা চোর ছিল আমি জানতাম না। অনুব্রতটা কী করেছে? ওকে কেন ধরেছে? নিজাম প্যালেসে দোকান খুলে চাকরী বিক্রি হত। তোপ সেলিমের
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, উনি সততার প্রতীক সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন সেই সাইনবোর্ড লাগিয়েছিল শুভেন্দু। সে এখন বিজেপির নেতা বিরোধী দলনেতা। চিটফান্ডের টাকা মেরে অধিকারী পরিবারের শুভেন্দু সবচেয়ে বড় সাইনবোর্ড লাগিয়েছিল। একটা ভাইপো রয়েছে অভিষেক। আরও এক ভাইপো শুভেন্দু। এখন মোটা ভাইয়ের ভাইপো।
নিজাম প্যালেসে দোকান খুলে চাকরী বিক্রি হত, বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ

সেলিমের তোপ, তৃণমূলের ঝান্ডার মধ্যে মমতার মুখ থাকত। কিন্তু এখন মমতার মুখ থাকে না। কেন এখন বুঝে গেছে সততার সাইনবোর্ড মুছে গেছে। ওই শুভেন্দু মমতার ছবির বদলে মোদি-শাহের ছবি নিয়ে ঘুরছে।