নজরবন্দি ব্যুরোঃ যারা অন্যায় করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কিন্তু, নির্দোষরা যেন দোষের ভাগীদার না হয়। আইন মেনে চাকরি ফিরিয়ে দিন। দরকার হলে তাঁদের আবার পরীক্ষা নিন কিন্তু, তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিন। মঙ্গলবার ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্ম সার্ধশতবর্ষে আলিপুর আদালতের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ এবার মোবাইল কোম্পানি গুলি আর আগে থেকে App রাখতে পারবে না, কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শতশত কর্মপ্রার্থীদের চাকরি যাচ্ছে। যা নিয়ে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, রোজ রোজ ৩ থেকে ৪ হাজার জনের চাকরি যাচ্ছে। সবাই তৃণমূল নয়। একজন রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। একটু ভেবে দেখবেন। কেন হাজার-হাজার ছেলে-মেয়ে সমস্যায় পড়বে। আইন অনুযায়ী তাদের চাকরিটা ফিরিয়ে দিন। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নিন। যেমন নির্দেশ দেবেন সেই মতো কাজ করব।

তাঁর সংযোজন, একটু ভেবে দেখতে বলব বিচারপতিদের। বিয়ে করে সংসার চালাবে কী করে, বাবা মাকে দেখবে কী করে? হঠাৎ চাকরি চলে গেলে ওরা খাবে কী? যারা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমার কোনও দয়া নেই তাঁদের প্রতি। দরকার হলে তাঁদের আবার পরীক্ষা নিন। আইন অনুযায়ী তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিন। আমি খবরের কাগজে দেখলাম কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছে। আমার মনটা ভারাক্রান্ত। কোর্ট যেমন বলে দেবে এই ছেলেমেয়েগুলোর জন্য আমরা বন্দোবস্ত করে দেব।
এদিন বাম আমলে হওয়া একটি রায়ের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন অন্যায় করে থাকলে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দিন। তিনি তো চাকরি খাওয়ার কথা বলেননি। আর এখন কথায় কথায় দেখি তিন হাজার চাকরি বাতিল। আরে সবাই তো আর অন্যায় করেনি। সবাই আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা সরকারের লোক নয়। নীচে বসে যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু, আমি তো আর জজ নই যে কথায় কথায় অর্ডার দেব!
আইন মেনে চাকরি ফিরিয়ে দিন, এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

কার্যত ক্ষোভের সুরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চাকরি দেওয়ার লোক নেই, চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। পিআইএল এখন পলিটিক্যাল ইনটারেস্ট লিটিগেশন হয়ে গেছে। আমাকে আপনার পছন্দ হতে নাও পারে, আমার দলকে আপনার পছন্দ নাও হতে পারে, আমার সরকারকে আপনার পছন্দ নাও হতে পারে, আমাকে মারুন যা কিছু করুন।