নজরবন্দি ব্যুরো : ২১-শের বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে কংগ্রেসকে ১০০টি আসন ছাড়তে পারে বামেরা। বাংলায় শুরু হয়েছে নবান্ন দখলের লড়াই। পাখির চোখ ২১-শে নির্বাচন। শাসকদলের উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিরোধী দল গুলি। অন্যদিকে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে জোট বাঁধছে বাম-কংগ্রেস। তবে এদিকে বেশি আসন চেয়ে বসেছে কংগ্রেস। তাই বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলায় ‘বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে’ নিজেদের ভাগ থেকে আরও বেশি আসন ছাড়তে প্রস্তুত সিপিএম। ফলে কংগ্রেসের জন্য ১০০টি আসনে বিধানসভা কেন্দ্র বণ্টনে ঘরোয়া হিসেব তৈরি করে ফেলেছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাই বিধান ভবনের উত্তরের অপেক্ষায় বসে রয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আরও পড়ুনঃ করোনার ভাইরাসের থেকেও বিপদজনক বিজেপি, বিস্ফোরক মন্তব্য নুসরতের
সূত্র মারফত খবর, দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এবং ফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এইখানে বামেদের নেতৃত্বদের মধ্যে দুই চারজন ছাড়া বাকিরা এতে সমর্থণ করেছেন বলেই খবর। আর তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হযেছে যে, যদি ১০০ আসন কংগ্রেস চায় তাহলে তাতে রাজি হয়ে যাবে সিপিএম। অন্যদিকে ২০১৬ সালেও বাম-কংগ্রেসের মধ্যেও আসন নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। বামেরা মোট ১৮৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এবং কংগ্রেস ৯২ টি আসনে।
এবিষয়ে সিপিএমের প্রথমসারির এক নেতার কথায়, “গতবার ছিল তৃণমূলের সঙ্গে বাম–কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই। এবার বিজেপিকে ঠেকানোর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য রয়েছে। তাই বিজেপি–তৃণমূলের বাইরে যেখানে যার যতটুকু শক্তি রয়েছে, তাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা হবে।”
কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিহারের ভোটের পরে এআইসিসি’র যা মনোভাব তাতে খুব বেশি আসনের জন্য জোরাজুরি করে জোট ভেস্তে দেওয়ার পক্ষপাতী তারা নয়। ফলে তারা কংগ্রেসের পক্ষে ইতিবাচক আসনেই নজর দিতে চায়।