দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের 'উপহার', পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়

নজরবন্দি ব্যুরো: বর্ষার মরশুম আসতেই ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চড়া দামে মাছ কিনতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তবে এবার এল এক সুখবর। কলকাতা ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানকে মান্যতা দিল বাংলাদেশ। দুর্গাপুজোয় ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসছে পাঁচ হাজার টন ইলিশ। বৃহস্পতিবার ওই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি এই সংবাদ প্রকাশ্যে এনেছেন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, মাদ্রিদের বইমেলায় থাকবে বাংলার বই

গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সচিবালয়ে মন্ত্রকের সভাকক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি’ পর্যালোচনা সভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ‘‘পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। গত বছর এই পরিমাণ দিয়েছি। আগের বছরও পাঁচ হাজার কিংবা তিন হাজার টন দিয়েছিলাম। তিন হাজার টন দিয়ে যদি পারি, তাহলে এর বেশি আমরা দেব না।’’

দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের 'উপহার', পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়

বর্তমানে বাজারে রুপোলী মাছের চড়া দাম। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে। এনিয়ে টিপু মুনসি বলেন, “ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করি না। শুধু দুর্গাপুজোয় যেসব বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছা স্বরূপ ইলিশ দেওয়া হয়। যেমন আমের সময়, আমরা আম পাঠাই। সারা বছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রপ্তানি করিনি। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেন স্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করব।’’

দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের 'উপহার', পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়

জানা গিয়েছে, ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে ১০০ টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন চেয়েছিল। তবে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানির জন্য ৯৬ টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাবেন। উল্লেখ্য, গতবছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের ‘উপহার’, পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়

দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের 'উপহার', পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়
দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের ‘উপহার’, পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসছে বাংলায়