নজরবন্দি ব্যুরোঃ এসএসসির গ্রুপ সির পর গ্রুপ ডি নিয়োগে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনঃ প্রশান্ত কিশোরের কাজে অসন্তুষ্ট গোয়া তৃণমূল প্রধান, উগরে দিলেন ক্ষোভ
ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি থাকার অভিযোগে প্রায় ৮০০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। এবার গ্রুপ ডি নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে খবর, শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন এবং পর্ষদের মধ্যে কাকে বিশ্বাস করা যাবে? যদি অনিয়ম হয়েছে ধরে ধরে নেওয়া হয়, তাহলে দোষীদের খুঁজে বের করা সহজ নয়। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে সরকার অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধুমার গ্রুপ ডি নয়, অনেক ক্ষেরেই অনিয়ম হয়েছে। মেয়াদ শেষের পরেও সুপারিশ হয়েছে, এমন নোটিশ দেন মামলাকারীরা।
এর আগে গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন,অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির সমস্ত তথ্য সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের হাতে আজই হস্তান্তরিত করা হোক। আজকের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ কী হয় তা বুধবার আদালতের কাছে জানাবে সিবিআই।
গ্রুপ ডি নিয়োগে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ, রিপোর্ট চাইল আদালত
এমনকি বলা হয়েছিল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া অবধি আরকে বাগের নেতৃত্বে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটির যদি কোনও অফিস থাকে তাহলে সেই অফিসের বাইরে এখন থেকে কেউ যাতায়ত করতে পারবে না। মোতায়েন থাকবে সিআরপিএফ।