নজরবন্দি ব্যুরোঃ উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশ, কোনও চাকরি প্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। দুই দিনের জন্য নিয়োগ স্থগিতাদেশ রাখার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। চাকরি প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে এমনই মন্তব্য করতে দেখা গেছে বিচারপতিকে।
আরও পড়ুনঃ Amazon: টুইটার মেটার পথে হাঁটছে এবার অ্যামাজন, চাকরি যাবে বহু কর্মীর
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধুমাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের মার্চে ইন্টারভিউ হয়। চলতি বছরের অক্টোবরে শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। এরপরেই নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
চাকরি প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তপশিলি জাতিভুক্ত হওয়ার পরেও অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২ এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তাঁকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁর পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর যোগ করা হয়নি।
চাকরি প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে, মন্তব্য বিচারপতির
সোমবার আইনজীবীদের বক্তব্য, এরকম ৬০ জন চাকরি প্রার্থী রয়েছেন, যাদের নম্বর তাঁদের সোমার থেকে কম। এরপরেই প্রতিটি নম্বর ধরে চাকরি প্রার্থীদের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরে কমিশনের আইনজীবীর যুক্তি মানতে চানননি বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, কোথায় বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে ওই প্রার্থীদের? ভৌমিক পদবি তপশিলি জাতিভুক্ত? এ সব করে চাকরি প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। মন্তব্য বিচারপতির।