নজরবন্দি ব্যুরোঃ একসময় ছিলেন এলাকার বিধায়ক। চরম জনপ্রিয়তার জেরে সাংগঠনিক বিভাগেও গুরুত্ব বেড়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বাধ সাঁধল দলবদল। বিজেপিতে যেতেই রাজীবের থেকে মুখ ফেরালেন কর্মীরা। ভোট পেরিয়ে ফের তৃণমূলে কামব্যাক। কিন্তু দলবদলের মাশুল এখনও গুনতে হচ্ছে রাজীবকে। ‘মীরজাফর’ এর তকমা দিচ্ছে ডোমজুড়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তিন নতুন বিমানবন্দর চালুর পথে, মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই কাজ
হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বারের প্রাক্তন প্রধান সুধীরচন্দ্র দাসের প্রয়াত হন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্লোগান দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হটো বলে। এমনকি ‘মীরজাফর’ বলেও তকমা দেন তাঁরা। তাই প্রাক্তন সভাপতির সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় তাঁকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহাসমারোহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তাঁর যোগদানের সমস্য চাটার্ড ফ্লাইটের আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র ডোমজুড় নয়, গোটা হাওড়া জেলায় দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি। রাজ্যের ক্ষমতা থেকে অনেক দুরেই থেমে যায় বিজেপির রথ।
এরপর দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতি থেকে অন্তর্ধানে থেকেছিলেন তিনি। কিন্তু যোগাযোগ ছিল কুণাল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মতো তৃণমূলের প্রথম সারীর নেতাদের। পরে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শেষমেশ ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। তাতেও দলের অন্দরে চাপা ক্ষোভ কমেনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনাবলীর রেশ ধরেই ক্ষোভের চাপা আগুন জ্বলে উঠল ফের। শনিবার ডোমজুড়ের বিরুদ্ধেই সরব হলেই গ্রামবাসীরা। দেখানো হল কালো পতাকা।
দলবদলের মাশুল, ডোমজুড়ে রাজীবকে ঘিরে বিক্ষোভ
তবে নাম না করে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের বিরুদ্ধে। যদিও এবিষয়ে বিধায়কের মন্তব্য, তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখানোর কোনও বিষয় নেই। বিধানসভা নির্বাচনে যে কাজ করেছেন তারই ফল ভোগ করছেন। গ্রামবাসীরা করে থাকতে পারেন। আমি কিছু করলেও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। জেলায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।