নজরবন্দি ব্যুরো: গত শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই রায় সংশোধন করে সংখ্যাটি ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে নজিরবিহীন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নজিরবিহীন রায়ের ওপরেরই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এই মামলায়। বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না মেলে পর্যন্ত চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। তাছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলতে হবে হবেই বলে শুক্রবার জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষকদের আগামী চার মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়তে হবে, এমনটাই জানিয়ে ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে কখনই নিয়োগ দুর্নীতিতে এত বিপুল পরিমাণ বাতিল হয়নি। যার জেরে নতুন করে শোরগোল ছড়িয়েছিল। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আপাতত ৪ মাস তাঁদের স্কুলে যেতে পারবেন। তবে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুসরণ করে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে।
এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় ডিভিশনের বেঞ্চ। তবে ডিভিশনের বেঞ্চের এই রায়ের ফলে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিল না হলেও, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এই ৩২ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষককে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চলতি সপ্তাহের সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা দায়ের করা হয়।