নজরবন্দি ব্যুরো: কয়েকদিন পরই শারদীয়ার উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি। এই সময়ে একদল ছুটে যায় পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। শহরের ভিড় ব্যস্ততা সরিয়ে কটা দিন একটু নিরিবিলিতে যারা কাটাতে চাইছেন, ইতিমধ্যেই পাহাড়ি ঠিকানায় বুকিং সেরে ফেলেছেন। অন্যদিকে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের কথা মাথায় রেখে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পাহাড়ের প্রশাসন। এবার পুজোয় পর্যটকদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই বাজবে সানাই, পরিণীতি-রাঘবের বিয়েতে কড়া নিয়মের তালিকায় কী কী রয়েছে?
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে নতুন উদ্যোগ। পুজোর মরশুমে পাহাড়কে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একডজন জয়রাইডের ব্যবস্থা করা হল। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ১৫ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে আরও চারটি জয়রাইড চালানো হবে। এখনই বিস্তারিত জানানো হয়নি। তিনি জানান, “প্রতিদিনই এনজেপি-দার্জিলিং প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেন চলে। কিন্তু এই যাত্রা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় গাড়িতেই উঠে যান সবাই। আর জয়রাইডে সেই অভিজ্ঞতা নিতে চান। এ দিকে নজর রেখেই জয়রাইডের ব্যবস্থা।’’ পরিষেবা চালু হওয়ার আগেই সময় সূচি জানানো হবে।
করোনার প্রকোপে পর্যটন শিল্পে জোর ধাক্কা লেগেছিল। টানা দু বছর কার্যত ধুকছিল পর্যটনকেন্দ্র। ফের স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। ঢল নেমেছে মানুষের। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে মোট ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যাত্রী হয়েছিল। এতে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। স্টিম ইঞ্জিনে জয় রাইডের এখন ভাড়া দেড় হাজার টাকা, ডিজেল ইঞ্জিনে ভাড়া এক হাজার টাকা। পর্যটকদের আনন্দে যে জয় রাইডের ভাড়া বাধা হবে না সেকথা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, পুজোর ছুটিতে কয়েকদিন এক নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে পর্যটকরা। ঘুম-সোনাদা ফেলে খেলনা ট্রেনে দার্জিলিং পৌঁছনোর মজাটাই যে আলাদা। দূরে বরফ ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা, পাশে চা বাগানের ঘন সবুজ গালিচা, এতেই তো ডুবে থাকে বাঙালির নস্টালজিক মন। পর্যটকদের মন বুঝেই চমক আনছে রেলওয়ে।
পর্যটকদের মনোরঞ্জনের বিশেষ ব্যবস্থা পাহাড়ে, পুজোয় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে দার্জিলিং
