নজরবন্দি ব্যুরো: দু দিনের হেফাজতে ছত্রধর, দশক পরে ভোট দিয়ে ছত্রধর আশাবাদী ছিলেন ঝাড়গ্রামের ৪-০ ফল নিয়েও। বিশ্বাস রাখছিলেন সাধারণ মানুষের ওপর আর ভরসা রাখছেন দেশের আইনে। জঙ্গলমহলে কার্যত হাতের তালুর মত চেনেন তিনি। একদা মাওবাদী নেতা এবং এখন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদক। দুই কেসে তাঁকে NIA তলব করেছিল। তৃণমূলের তরফ থেকেও জানানো হয়েছিল জঙ্গল মহলের ভোটলুঠ করতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইছে বিজেপির প্রেরিত পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রসগোল্লা পাবে, আর রস ছাড়া রসগোল্লা খাবে, নন্দীগ্রামে ঢোকার আগে BJP’কে বার্তা মমতার।
আর জঙ্গল মহলের ভোট মিটতেই সেই রাতেই বাড়ি থেকে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেপ্তার করছে NIA মাওবাদী জীবন পেরিয়ে এসেছেন, ভরসা রাখছেন গণতন্ত্রে, ভরসা রাখছেন দেশের আইন ব্যবস্থায়। NIA তলব নিয়ে গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে সপ্তাহে ৩দিন হাজিরা দিতেও রাজিও ছিলেন তিনি। আদালত তাঁকে জানিয়েছিল প্রতি সপ্তাহের সোম বুধ শুক্র হাজিরা দিতে, তাতেও সম্মতি জানিয়েছিলেন তিনি। অথচ তার পরেও ভোটের রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন এবং রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় নাম জড়িয়ে আছে ছত্রধরের। সূত্রের খবর কাল ভর রাতে প্রায় ৪০ জন মিলে তাঁর বাড়ি চড়াও হন এবং গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। তার জন্য দেখানো হয়নি কোনো নির্দিষ্ট কাগজ। বলা হয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস মামলায় নথি আছে ছত্রধর মাহাতোর কাছে, সেই নিয়েই চলবে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তকারী সংস্থা চেয়েছিল ছত্রধরের ১৪ দিনের হেফাজত। কিন্তু তা খারিজ করেছে আদালত।
দু দিনের হেফাজতে ছত্রধর, প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় মাত্র ২দিন তাঁকে হেফাজতে রাখতে পারবে NIA, তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকশাল কোর্ট। ছত্রধরকে গ্রেপ্তারের পরই মুখ খুলেছেন তাঁর স্ত্রী। জানিয়েছিলেন NIA এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল বিজেপিতে যোগদানের কথা, উত্তর না হওয়াতেই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছিলেন গ্রেপ্তারের পরেই শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে তাঁর স্বামীর ওপর। এই ঘটনায় আদালতের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ছত্রধরের শরীরে কোনো আঘাতের চিন্হ থাকলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে ওই তদন্তকারী সংস্থাকে।