পাহাড়ে শুরু গুরুং ম্যাজিক, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন বিমল

নজরবন্দি ব্যুরো: পাহাড়ে শুরু গুরুং ম্যাজিক, নজরে একুশের ভোট। একুশে বাংলার মসনদ কার দখলে সেটা বলবে সময়। এরই মাঝে পাহাড়ে নিজের ম্যাজিক দেখাতে ময়দানে নামলেন বিমল গুরুং। শিলিগুড়িতে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন বিমল। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির বেশ কিছু ওয়ার্ডে যেখানে নেপালী এবং গোর্খা ভোটার বসবাস করেন সেখানে গিয়ে প্রচারে নেমে পড়লেন বিমল গুরুং।
আরও পড়ুন: কৃষকদের ব্যাঙ্কে সরাসরি টাকা দিতে রাজ্যের সাহায্য চেয়ে মমতাকে চিঠি তোমরের।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমল গুরুং জানান, তিনি এবার ভোটারদের বোঝাবেন যে বিজেপি নিজেরাই ঠিক করতে পারছে না কোনটা ঠিক এবং কোনটা ভুল।তিনি আরও বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড তো দূরের কথা, সামান্য উপকারও বিজেপি করতে পারবে না। তাই আগামী নির্বাচনগুলিতে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আগামী দিনে পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে।’ এদিন বিমল গুরুঙ্গ শিলিগুড়ির বেশকিছু এলাকায় গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন ভোটারদের সঙ্গে। বিমল গুরুঙ্গ-এর সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু গোর্খা সমর্থক। তাঁরা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে মিলে প্রচার করতে আরম্ভ করে দিয়েছেন। এদিকে রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিমল গুরুং এর শিলিগুড়িতে প্রচার যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।
দলীয় সূত্রের খবর, তরাই এবং ডুয়ার্সে নেপালি ভাষাভাষী এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা যথেষ্টই। বিশেষ করে চা বলয়ে গুরুংয়ের ভাল প্রভাব রয়েছে। তেমনিই, সালুয়ায় গোর্খা জনগোষ্ঠীর মানুষ ভাল সংখ্যায় থাকেন। এই সমস্ত আসনে ভোটের হিসাব ঠিক রাখতেই গুরুং ঘোরা শুরু করেছেন।
পাহাড়ে শুরু গুরুং ম্যাজিক, বিগত ১২ বছর বিজেপির পক্ষে থাকায় মোর্চা সমর্থকদের একটা অংশ এখনও গেরুয়া ঘেঁষাই হয়ে রয়েছে বলে গুরুং শিবির মনে করছে। এখন নিজের প্রভাব খাটিয়ে প্রচার শুরু করেছেন গুরুং। তাঁকে এই কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে ৫৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭-১৮টি আসনে ভাল ফলের আশা করছে ঘাসফুল শিবির।