নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি অভিযোগে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে বিকেল ৫ টা ৪৫ নাগাদ নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হন তিনি। সেই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। স্বাধীনতার পর এটা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। দাবী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুনঃ Partha Chaterjee: নিজাম প্যালেস পৌঁছলেন পার্থ, সিবিআইয়ের জেরা শুরু
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, স্বাধীনতার পর এটা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। যেটা হরিয়ানাতে হয়েছিল সেটা এর কাছে কিছু নয়। সরাসরি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নিজেদের আয়ত্তে না আনতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দল এবং ভাইপোর ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহার নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই কমিতি কাজ ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা। প্রত্যেকটি ফাইলে শিক্ষা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সই করিয়েছেন। সেই কমিটির মধ্যে মন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ছিলেন। তার মানে তো মন্ত্রী নিজে জড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দুনীর্তি যে হয়েছে এটার জন্য আমার মনে হয় না আর কোনও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এবার এজেন্সি এবং আদালত কী করবে সেটা আমার বিষয় নয়। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি বলতে পারি না তাঁরা কী করবে? কিন্তু দিনের আলোর মতো পরিষ্কার এই দুর্নীতির মূলে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিরোধী দলনেতার সংযোজন, কান টানলে মাথা আসে। পার্থবাবু কার নির্দেশে এই বিপুল সংখ্যক নিয়োগের সুপারিশ করেছেন সেটা তাঁকে জানাতে হবে। পরেশ অধিকারী তৃণমূলের যোগদানের সময় শর্ত রেখেছিলেন তার মেয়েকে চাকরী দিতে হবে। দুই তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী করতে হবে। তিন, চ্যাংরাবাঙ্গায় কর্পোরেশন ডেভলপমেন্টে তাঁকে চেয়ারম্যান করতে হবে। এখন এই বিনিময়ের শর্তপূরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজ্ঞানে হয়নি। পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছিল।
স্বাধীনতার পর এটা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি, দাবী শুভেন্দুর
তিনি আশাবাদী, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই সমস্ত ঘটনা তুলে ধরবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালতের রায় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। এদিনেও বলে দিলেন ২৪ সালে একসঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে।