নজরবন্দি ব্যুরো: আগামী শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে দিল্লিতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বৈঠকে থাকবেন না। এবার সেই পথেই হাঁটলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বয়কট করলেন নীতি আয়োগের বৈঠক। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। মোদীকে দেওয়া চিঠিতে আপ সুপ্রিমো জানিয়েছেন, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: সিবিআই জেরায় ইউটার্ন কুন্তলের! অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিন্দিতে চিঠি লিখেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লিখেছেন, “গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। অবিজেপি সরকারগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এটা ভারতের রূপরেখা নয় এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও নয়। গত কয়েক বছর ধরে গোটা দেশব্যাপী একটা বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, কোনও রাজ্যে যদি মানুষ অবিজেপি দলের সরকার গঠন করে, তাহলে তা সহ্য করা হবে না।” চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “আট বছর লড়াই করে দিল্লির জনতা সুপ্রিম কোর্টে লড়াই জিতেছিল। দিল্লির মানুষ ন্যায়বিচার পেয়েছিল। কিন্তু, আজ যদি দিল্লি সরকারের কোনও অফিসার কাজ না করেন, মানুষের নির্বাচিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।”

দিল্লির আমলাদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ আটকাতে মরিয়া আম আদমি পার্টি। রাজ্যসভায় এই অধ্যাদেশ যাতে পাশ না করানো যায় তার জন্য বিরোধী দলগুলির সমর্থন আদায় করতে বেরিয়ে পড়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন আপ নেতা।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কেন্দ্র। এরপরই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এনিয়ে বলেন, “রাজ্যের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বিকল্প হিসাবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। আমার নামও ছিল। কিন্তু ওরা জানিয়েছে, যেহেতু শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নীতি আয়োগের সদস্য, তাই এই বৈঠকে অন্যদের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা আছে।”
Mamata Banerjee-র পথেই হাঁটলেন কেজরিওয়াল, মোদীকে চিঠি দিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত
