নজরবন্দি ব্যুরো: ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের। বাংলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ সেদিন যাত্রী ছিলেন ওই ট্রেনে। কাকদ্বিপের ১৫ জন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তিনজনের দেহ শনাক্ত করা হয়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার কাকদ্বীপে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান পাখির চোখ, বাংলার মহিলাদের মুশকিল আসান করে দিলেন মমতা
জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের মধুসূদনপুরের ১৫ জন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। উদ্ধারকার্য শুরু হলে তিনজনের দেহ শনাক্ত করা হয়। রবিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কাকদ্বীপে পৌঁছে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অভিযোগ, এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ শিবকালীনগর এলাকায় বিজেপি নেত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিও। অগ্নিমিত্রাকে দেখে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।
অভিযোগের পাল্টা তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, বালেশ্বর দুর্ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই এখনও নিখোঁজ। কিন্তু তার আগেই বিজেপি রাজনীতি করতে চলে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের কথায়, এলাকার মানুষ এখন চিন্তিত। যারা মারা গিয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকেরা মর্মাহত। এই কারণেই বিজেপিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় অগ্নিমিত্রা পলকে।

জানা গিয়েছে, কোনওরকমে বিক্ষোভের মুখ থেকে বেরিয়ে কেবল দুর্ঘটনায় মৃত একজনের পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে পেরেছেন অগ্নিমিত্রা। বাকি আর কারও সঙ্গেই দেখা হয়নি। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী বলেন, “নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তৃণমূল বাধা দিয়েছে। একশো দিনের কাজের টাকা কেন কেন্দ্র দেয়নি তা নিয়ে অহেতুক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমার প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কেন এ রাজ্যে ওই যুবকদের কাজ দিতে পারলেন না? কেন রাজ্যের বাইরে কাজে যাচ্ছিলেন ছেলেগুলো?” যদিও কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার দাবি জনরোষে পড়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পল।
বালেশ্বর বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিপাকে Agnimitra Paul, বিক্ষোভ
