নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভাবাই যায় না যে কথা তা এখন সত্যি, ৭৭ বছরের চিরসবুজ প্রেমিক আরেকজন সবে কৈশোর পেরিয়ে ২০ বছরের যুবতী। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই দু’জন ভালবাসার মানুষের রূপকথার কাহিনি। বছর কুড়ির সদ্য যুবতী জো মায়ানমারের বাসিন্দা। জো মায়ানমারেরই একটি কলেজে পাঠরতা। জোয়ের‘নবীন কিশোর’ প্রেমিক ৭৭-এর ডেভিড ইংল্যান্ডের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ দুই দেশের সম্পর্কই সম্পদ, মৈত্রী দিবসে ইন্দিরা স্মরণে হাসিনা
বয়সটা এখন সত্যিই সংখ্যা মাত্র, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সদ্য কৈশোর পেরিয়ে ২০ বছরের যুবতী। দাদুর বয়সী একজনের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছে মায়ানমারের জো।বয়সের ফারাক ৫৭ বছরের, বর কনের বয়স এমনি যেন দাদু নাতনির সম্পর্ক। প্রেমিক ৭৭-এর ডেভিডকে নিয়ে কোনই সমস্যা নেই ২০ বছরের জো এর।
জো পেশায় একজন সঙ্গীত পরিচালক। জানা গিয়েছে, একটি ডে়টিং সাইটের মাধ্যমে এই অসম বয়সি যুগলের আলাপ। ডেভিড বিবাহিত। তবে নিঃসন্তান। জো ডেটিং সাইটে এমন একজন মানুষকে খুঁজছিলেন যাঁর কাছ থেকে তিনি পেতে পারেন আর্থিক নিরাপত্তা। পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের।
ডেভিডেরও ডেটিং সাইটগুলিতে ছিল অবাধ যাতায়াত। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে ফ্লার্ট করেই সময় কাটাতেন তিনি। সে রকমই কোনও একটি ডেটিং সাইটে আলাপ হয় জোয়ের সঙ্গে। প্রথমে সাধারান কথাবার্তা দিয়েই শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় গভীর প্রেমে।
বয়স এখন সংখ্যা মাত্র, দাদুর সাথে বিয়ে করছে নাতনি

গত দেড় বছর ধরে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছে। তবে এটা অবাক হওয়ার মত, যে এই দেড় বছরে তাঁদের একবারও মুখোমুখি দেখা হয়নি। অথচ এতে তাঁদের প্রেমে কোনও রকম ভাঁটাও পড়েনি। বরং ইতিমধ্যেই তাঁরা দু’জনে সাত পাকে বাঁধা পরার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। জো জানিয়েছেন, এই অতিমারি পরিস্থিতি কেটে গেলেই জো খুব দ্রুত পৌঁছে যাবেন ইংল্যান্ডে ডেভিডের কাছে।