নজরবন্দি ব্যুরো: ডাকা হয়নি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, আসন্ন একুশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এদিকে ভোটের আগেই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শাসক দলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের খেলা। জলপাইগুড়ির এক ঘটনায় আরও অস্বস্তি বাড়ল শাসক শিবিরের। জানা গিয়েছে, বুধবার তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির একটি বৈঠক ছিল। আর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর ডাকা প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: আচমকাই বাগবাজারে মুখ্যমন্ত্রী, গৃহহীনদের পাশে থাকার আস্থা।
এদিকে এই বৈঠক নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ, জেলা কমিটির বৈঠক থাকলেও সেখানে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা মোহন বসুকে ডাকা হয়নি। শুধু মোহন বসুই নন, এই বৈঠকে ডাক পাননি জলপাইগুড়ি জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা রাজ্য সহ সাধারণ সম্পাদিকা সাগরিকা সেন। যদিও এদিন আমন্ত্রণ ছাড়াই বৈঠকে হাজির হন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। সকলের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নেত্রী। সেইসময় কার্যালয়ের বাইরে অনেকেই ছিলেন। তাঁরা এহেন ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যান।
ডাকা হয়নি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, এরপর জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সাগরিকা সেন। তাঁর অভিযোগ, সাগরিকা দেবী দলের পুরনো সৈনিক হলেও তাঁকে কোনও বৈঠকে ডাকা হয় না। সে কারণে দুঃখ হয় তাঁর। তাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলেও জানান সাগরিকা। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর বক্তব্য, “জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বসে যাওয়া কর্মীদের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে দলের কাজে পুনরায় তাঁদের যুক্ত করা হবে।” সেইসঙ্গে মোহন বসু কেন অনুপস্থিত এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তিনি অসুস্থ।”