নজরবন্দি ব্যুরোঃ ঘটনাটি জয়রাম নামক এক ব্যাক্তির। আর পাঁচজনের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেই জন্ম হয়েছিল জয়রামের ও। ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা কামানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনিও। কিন্তু এই স্বপ্ন যে বাস্তবে রুপান্তরিত হবে তা ভাবতে পারেননি স্বয়ং জয়রাম ও। সত্যিই হয়ত সবুরে মেওয়া ফলে, তার উদাহরণ জয়রাম। ১৮ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন তার কর্মজীবন আর এখন তার আয় বছরে ৩০০ কোটি।
আরও পড়ুনঃ Janhvi’s birthday: ২৭ শে পা দিলেন শ্রীদেবী-কন্যা। বিশেষ ভাবে পালিত হল তার জন্মদিন।
কর্নাটকের মেঙ্গালুরুর উদুপিতে জন্ম জয়রামের, বাবা ছিলেন পেশায় গাড়িচালক। অভাব অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। পড়াশোনায় ছিলেন ভীষণ দুর্বল। বাবার কাছে এই নিয়ে বকা খেয়ে ১৩ বছর বয়েসে বাড়ি ও ছেড়ে ছিলেন। সালটি ছিল ১৮৬৭, ওই টুকু বয়েসেও জেদ ছিল অতিমাত্রায় হয়ত সেই জেদই এনে দিলো সাফল্য। বাবার পকেট থেকে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে পারি দিয়েছিল মুম্বাই।

এবার শুরু হল তার জীবন যুদ্ধের লড়াই। মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে পরিচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, বেতন ছিল ১৮ টাকা। তার পরের বছরেই পদোন্নতি পেয়েছিলেন বাসন মাজার কাজ থেকে পরিবেশকের কাজ পেয়েছিলেন তিনি, পরে অবশ্য ম্যানেজার পদে যুক্ত হন।

কিন্তু আসল গল্পের মোর ঘোরে এখান থেকেই, জয়রাম জানতে পারেন যে, মুম্বইয়ে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের রেস্তরাঁর চাহিদা দিনদিন বাড়ছে জয়রাম ও রেস্তরাঁ খোলার পরিকল্পনা করেন কারণ তিনিও জন্ম সুত্রে দক্ষিন ভারতীয়। তবে তিনি তার নিজের রেস্তরাটি খোলেন দিল্লিতে। বন্ধু-পরিজনের সাহায্যে ১৯৮৬ সালে দিল্লির ডিফেন্স কলোনিতে ‘সাগর’ রেস্তরা খোলেন। প্রথম দিনের আয় ছিল ৪৮০ টাকা।
১৮ টাকা থেকে এখন ৩০০ কোটি আয়, হঠাৎ করেই এলো জয়রামের সাফল্য।

ওই সময় দিল্লিতে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের একমাত্র সম্বল ছিল ‘উডল্যান্ড’, ‘দাসপ্রকাশ’ রেস্তরাঁ। ‘উডল্যান্ড’ রেস্তরাঁটি কিনে ফেলেন জয়রাম, নাম বদলে রাখেন ‘সাগর রত্ন’। শুরু হয় ‘সাগর রত্ন’ রেস্তরাঁর পথচলা, বর্তমানে উত্তর ভারতে জয়রাম রেস্তরাঁর ৫০টিরও বেশি এবং বিশ্ব জুড়ে এই রেস্তরাঁর ১০০টিরও বেশি শাখা রয়েছে। বর্তমানে জয়রামের আয় ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে।