নজরবন্দি ব্যুরো: টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গের। ২ দিন ধরে রোদ-বৃষ্টির দাপট চললেও মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকা গুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। আর এই বৃষ্টির দাপট বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যার জেরে আগামী ২ দিন একাধিক জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের কর্মসূচি চলাকালীন দিল্লিতে ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৬.২
জানা যাচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগামী দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূল এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ভরা কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বাড়ায় সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ ও মথুরাপুরের বেহাল বাঁধগুলোর উপর নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন ও সেচ দফতর।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বকখালি ও গঙ্গাসাগর উপকূলে সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ডিফেন্সের কর্মীদের উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে মাইক প্রচার চলছে।
এছাড়াও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সুন্দরবনের প্রতিটি ব্লকে। তবে মৌসুমী দ্বীপের বাঘডাঙার কাছে প্রায় ১৫০ মিটার ধসে যাওয়া চিনাই নদীর মাটির বাঁধ ও কাকদ্বীপের রামগোপালপুরের মন্দিরঘাটের কাছে ধস নামা প্রায় ৬০০ মিটার সপ্তমুখী নদীর বেহালবাঁধ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতরের কর্মীরা।