নজরবন্দি ব্যুরো: তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগ। এনিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছে। নিজে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বিরোধী দলের নেতারা তাঁদের অভিযোগে অনড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতাও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। কিন্তু স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে স্বামীর কি বক্তব্য। এবার ফ্ল্যাট দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন: রবিবার ফের একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকছে হাওড়া থেকে, যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা
যশ দাবি করেছেন, ‘নুসরতের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ টলিপাড়ার চর্চিত দম্পত্তি যশ-নুসরত। বর্তমানে তাঁরা তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ছবি ‘মেন্টাল’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি নুসরত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয়লাভ করেছিলেন। এদিকে বাংলায় যখন একের পর এক দুর্নীতিকাণ্ডে জর্জরিত সেইসময়ে শাসক দলেরই এক সাংসদের বিরুদ্ধে এই ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজনীতির আবহাওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “নুসরতের মামলা নুসরত বলবে, নুসরত লড়বে। কিন্তু কোনও মালিক যদি কিছু করে, তার জন্য আপনাকে কেন ইডি-সিবিআই ডাকবে? ইডি, সিবিআই যা বলল এক তরফা!” নুসরত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিজের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছেন, “যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি। ২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আমি দুর্নীতিতে যুক্ত নই।”
নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ, নায়িকা-সাংসদ ২০১৪ সালে ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেন। মোট ২৪ কোটি টাকা নাকি তিনি প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি প্রতারিতদের নিয়ে ইডির দফতরে গিয়ে নালিশ জানান শঙ্কু। গড়িয়াহাট রোডে ‘মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফাস্ট ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানির ডিরেক্টর তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এই সংস্থার মাধ্যমেই টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন নুসরত বলে অভিযোগ।