নজরবন্দি ব্যুরোঃ একদিকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস এবং সিপিআইএম জোট গড়েছে, ত্রিপুরায় এখন ট্রেন্ডিং ‘বামগ্রেস’, প্রাথমিকভাবে এগিয়ে থাকলেও ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ৩০+ পাওয়ার অঙ্কে কিছুটা প্রতিকূলতা দেখতে পেয়ে বিজেপি সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। পাশাপশি উপজাতীয় দল TIPRA বেশ ভাল রকম ভোট কাটার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতির মধ্যে চলছে ভোট গ্রহণ সাথে শাসক দলের ব্যাপক রিগিং!
আরও পড়ুনঃ উপজাতীয় ভোটই এক্স ফ্যাক্টর, ত্রিপুরায় বাম-বিজেপি ৫০-৫০, তৃণমূল শূন্য!

ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার আবেদন করে জনতাকে বলেছিলেন ভোট লুঠ রুখতে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যান। কিন্তু তাবলে কি সন্ত্রাস থেমে থাকে? মাত্র ৬০ টি আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার সিংহভাগ আসনেই ব্যাপকভাবে ভোট লুটের অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তেমনই এক কেন্দ্র রামনগর। এখানে ভোট লুঠেরাদের বাধা টপকে একাধিক মহিলা ভোট কেন্দ্রে যান।
যথারীতি ভোট দানের মুখে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বিজেপি কর্মীরা। তারপরেই উলোটপুরান। ভোটদানে বাধাদিতেই রুখে দাঁড়ান মহিলারা। সোজা পায়ের জুতো হাতে নিয়ে পেটাতে শুরু করেন বিএপি সমর্থকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা পড়ে সেই ছবি। মুহুর্তেই ভোট লুটেরার দল ছুটে পালায় সেখান থেকে। রামনগর কেন্দ্রে মূল লড়াই বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর।
ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, CPIM কর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা বিজেপির।
কাঁকড়াবন শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মেরে গুরুতর জখম করা হয়। এছাড়াও বোমা ছোঁড়া হয় সিপিআইএম কর্মীর বাড়িতে। বক্সবাজারে সিপিআইএমের অঞ্চল সম্পাদকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। তাঁর মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে। যদিও সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। তবুও শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন হচ্ছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি।