নজরবন্দি ব্যুরো: ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিরা লম্বা ছুটি কাটাতে কলকাতার বাইরে চলে যান। কারও পছন্দ পাহাড়, কারও পছন্দ সমুদ্র-সাগর, কেউ আবার নিজের ছুটিটা জঙ্গলে কাটাতে চায়। আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার বাইরের এক ঠিকানার খোঁজ রইল। সবুজে ঘেরা এই পর্যটন কেন্দ্রের নাম অনেকেই জানেন না। কিন্তু এখানে এলে উপভোগ করতে পারবেন এই জায়গার মাধুর্য। কোথায়, কীভাবে যাবেন? জেনে নিন বিস্তারিত।
আরও পড়ুন: দারুণ অ্যাডভেঞ্চার অর্জনের সুযোগ, ঘুরে আসুন এক অফবিট জায়গায়
আজকের গন্তব্য নওয়ানপিন্ড সরদারন। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের প্রত্যন্ত অবস্থিত সবুজে ঘেরা এই গ্রাম। চারিদিক যেন সবুজ দিয়ে সাজানো। এখানে এলে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে প্রকৃতি। এই ঠিকানা অনেকেরই অজানা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে, স্থাপত্যে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এবং এখানকার মানুষজনের ব্যবহারে এই গ্রামকেই দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের শিরোপা দেওয়া হয়েছে। পর্যটন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫০টি গ্রামের মধ্যে নওয়ানপিন্ড সরদারন গ্রামটিই সেরার শিরোপা পেয়েছে।
এই গ্রামে পুরনো বাড়ি, স্থাপত্য সবকিছুই সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখানে প্রতিটি জিনিসের রক্ষণাবেক্ষণ হয় অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে। নওয়ানপিন্ডের বাসিন্দারা নিজেদের গ্রাম নিয়ে খুবই যত্নশীল ও গর্বিত। ১৮৮৬ সালে নারায়ণ সিং এই গ্রামটি তৈরি করেন। প্রথমে একটি ছোট্ট জনপদ ছিল, ধীরে ধীরে এর পরিসর বাড়তে শুরু করে। নওয়ানপিন্ড তার অট্টালিকার জন্যও বিখ্যাত। এই অট্টালিকাগুলিতেই পর্যটকরা থাকতে পারেন। সেইমত সব ব্যবস্থা করা হবে।
অমৃতসর হয়ে গেলে কাংড়া, ধর্মশালা, ডালহৌসি ও অন্যান্য বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পটগুলো এই গ্রামের উপর দিয়েই যাওয়া যায়। ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই গ্রামটিই হল বৈষ্ণোদেবী য়াওয়ার অন্যতম পথ।
পর্যটন মন্ত্রকের সেরার শিরোপা, সবুজে ঘেরা এই গ্রামে যেন একটুকরো স্বর্গ
