নজরবন্দি ব্যুরোঃ বছর ঘুরলেই মেঘালয়ার নির্বাচন। তার আগে নিজে প্রচারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচনমুখী মেয়াঘলয়ে বিরাট ধাক্কা বিরোধী দল তৃণমূলের জন্য। সোমবার পদত্যাগ করে বসলেন তিন বিধায়ক। দুই এনপিপি বিধায়কদের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক। এই জল্পনা ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। যা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা।
আরও পড়ুনঃ Baranagar: বরানগরে প্রতিবন্ধী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য, সকাল থেকে শুরু বিক্ষোভ
গত বছরের নভেম্বর মাসে ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক সহ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুকুল সাংমা। তখন থেকেই মেঘ মুলুকের রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। সেই তালিকায় ছিল মৌসিনরামের বিধায়ক সাংপ্লিয়াং। সোমবার দলবদলের পর তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আগামী বছরের মার্চ মাসে মেঘালয়ের নির্বাচন। সেইমতো এখনই প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিরোধী দল তৃণমূল। এবার ক্ষমতাসীন বিজেপি সমর্থিত দল এনপিপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে আসার পরিকল্পনা রয়েছে মুকুল সাংমাদের। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। কিছুদিন আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যে উপস্থিত হচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সূত্রের খবর, ১২ ডিসেম্বর মেঘালয়ে উপস্থিত হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন ১৪ তারিখ অবধি। সেখানে তাঁর সফরসঙ্গী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে প্রচার সারবেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক, মুষড়ে পড়ল তৃণমূল

শিলং সফরে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় সমস্যার কথা বারবার তুলে ধরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মেঘালয়ের কী দরকার সেটা গুয়াহাটি অথবা দিল্লি ঠিক করে দেবে না। অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। এখন মেঘালয়ে গিয়ে মানুষের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেবেন মমতা? এখন সেটাই দেখার।