নজরবন্দি ব্যুরোঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তলকে নিয়ে অস্বস্তি ক্রমাগত বাড়ছে তৃণমূলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যদের মতো বলাগড়ের যুব নেতার কার্যকলাপে মোটেই খুশি নয় দল। তাঁকে বহিষ্কারের তোড়জোর তৃণমূলের তরফে শুরু করা হয়েছে। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর মিলছিল। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়ালেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। কুন্তলকে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শাসক দল। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পাঠানের ব্যাপক শাফল্যের পরেই কিং খানের মুখে বিরতির কথা! অভিনয় ছাড়ছেন শাহরুখ?
হগলীর বলাগড়ের প্রভাবশালী নেতা হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে কুন্তলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে ইডি। দলকে বারবার দূরে রাখার চেষ্টা করেছে কুন্তল। কিন্তু রাজ্য যুব কমিটির সদস্য কুন্তলকে নিয়ে বারবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে শাসক শিবিরকে। তাই এখন তাঁকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে চলেছে তৃণমূল।

কুন্তলের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সেবিষয়ে সায়নীর বক্তব্য। কুন্তলের সঙ্গে আমারও অনেক ছবি আছে। আমরা যখন কোনও দলীয় কর্মসূচিতে যাই, তখন কারও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেখতে পাই না। কুন্তলের বিষয়েও আগে কিছু জানা যায়নি। এমনকি এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে দল যে ব্যবস্থা নিয়েছে সেই কথা মনে করিয়ে দেন সায়নী। তাঁর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল যেভাবে সমস্ত পদ থেকে সরিয়েছে। কুন্তলকেও একইভাবে সরাতে চলেছে।
কুন্তলকে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত, খবর তৃণমূল সূত্রে

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুন্তলের সম্পর্কে জানতে পারে ইডি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি নিয়োগের জন্য ১০ শতাংশ করে কমিশন নিতেন। ইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন কুন্তল। ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, তাঁর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অন্তত ৩৫ জনের চাকরি হয়েছে। একাধিক তথ্য হাতে পেতে ফের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা।