নজরবন্দি ব্যুরোঃ চলতি মাসেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা। এরপরেই অসমে তৃণমূলের সাংগঠনিক বিস্তারের দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সদ্য নিযুক্ত রিপুন বোরার হাতে ধরে বিরাট যোগদান কর্মসূচী চলল অসমে।
আরও পড়ুনঃ অভিনয়ের টোপ দিয়ে একাধিকবার যৌননিগ্রহ! এবার অভিযোগ অভিনেতা ও প্রযোজক বিজয় বাবুর বিরুদ্ধে
বুধবার অন্যান্য দল থেকে একাধিক নেতারা তৃণমূলে যোগদান করলেন। অসমে নতুন দিনের সংকল্প নিয়েই এই যোগদান। জানালেন তৃণমূল নেতারা। এদিনের যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র, মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা।
যোগদান করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মুসাহারি, বাবুল সোনোয়াল, হরিপদ ত্যাগী, অরুণজ্যোতি ভুঁইয়া, দিগন্তভূষণ বর্মন, জুলফিকার হুসেইন, চিত্তরঞ্জন পাল, মেহেবুব হোসেন, গৌরঙ্গ বরা, বিজিত দাস, হরেন বরা, নিরঞ্জন বরা, জিতেন ভুঁইয়া, ভবন্ত রাভা, শচীন্দ্রকুমার দাস, পুলক বর্মা, আব্দুল বারেন, সত্যজিৎ দেবনাথ প্রমূখ।
AITC EMBARKS ON A REWARDING JOURNEY IN ASSAM!
Inspired by @MamataOfficial's enduring legacy and indomitable spirit, noteworthy individuals are joining us today.
With our heads held high, we look forward to a new era of transformation and change. #AITCInAssam pic.twitter.com/BpNIZjVbHz
— AITC Assam (@AITC4Assam) April 27, 2022
২৪ এর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বাংলার বাইরে সাংগঠনিক বিস্তারে নজর দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের বিশেষ নজরে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত। আগামী বছর ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের নির্বাচনের আগে প্রস্তুতি শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল অসমও। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদানের পর রিপুন বোরাকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানিয়েছেন অসমের মানুষ। যোগদান করেই বিরাট চমক, বিপুল সংখ্যক যোগদান তৃণমূলে।
যোগদান করেই বিরাট চমক, অসমে তৃণমূলের যোগদান মেলা
উল্লেখ্য, আগামী মাসের শুরুতেই মেঘালয়ে সফরে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী দিনের রণনীতি স্থির করবেন। তার আগে এই যোগদান যেন উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করল।
যদিও অসমে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কতটা দিতে পারবে তৃণমূল? সেবিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো চৌখস রাজনীতিবীদকে পরাজিত করা এতটা সহজ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই আগামো প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।