নজরবন্দি ব্যুরোঃ পাঁচ বছরে তিনবার বদলি করেছেন শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডল। তাই গতকাল তাঁকে পুরাতন স্কুল আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের যোগদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাজে যোগ না দিলে সেটা ব্রেক অব সার্ভিস বলেছিলেন বিচারপতি, কিন্তু তার নির্দেশের পরেও আজ সেই স্কুলে এলেন না শান্তা মণ্ডল।
আরও পড়ুনঃ Partha Chatterjee: পার্থ এখন ১০৮, ১২ দিনে ৩ কেজি ওজন কমে গেল প্রাক্তন মহাসচিবের।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নীতা বিশ্বাসজানিয়েছেন, আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। উনি চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল স্কুল ছেড়েছিলেন। উনি আজ কাজে যোগ দেননি। তাঁর বক্তব্য, বদলির ক্ষেত্রে এধরনের নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। সরকারি নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়েছেন পরিচালন সমিতির সদস্য।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শান্তা মণ্ডল শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি প্রধান শিক্ষিকার পদের জন্য আবেদন করেন ও পরীক্ষা দেন। বীরপাড়া গার্লস স্কুলে তাঁকে যোগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। সেখানে যোগ দেন শান্তা মণ্ডল। এর ঠিক এক বছরের মধ্যে শিলিগুড়ির অমিয় পাল চৌধুরী স্কুলে আবারও যোগ দেওয়ার সুপারিশ পান তিনি। তবে সেখানে যোগ দেননি শিক্ষিকা।
এরপর সুপারিশ অনুযায়ী নিজের পুরাতন স্কুল শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে যোগদান করেন। অভিযোগ, উৎসশ্রীর পোর্টালে সহ শিক্ষিকা হিসেবেই নাম ছিল শান্তা মণ্ডলের। দিন কয়েকের মধ্যে তা বদলে প্রধান শিক্ষিকা করা হয়। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন প্রসুন সুন্দর।
ব্রেক অব সার্ভিস বলেছিলেন বিচারপতি, কাজে না আসায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ!!

অভিযোগ, পাঁচ বছরের আগে কাউকে এভাবে স্থানান্তরিত করা যায় না। কিন্তু কীভাবে পাঁচ বছরের মধ্যে তিন জায়গায় স্থানান্তর করলেন তিনি?এরপরেই বীরপাড়া গার্লস স্কুলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। না হলে ব্রেক অব সার্ভিস হিসাবে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।