নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত ৮ তারিখ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার মন্ত্রি সভার বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের আইন দফতর। নিয়োগ নিয়ে আইন দফতরের সম্মতি পেয়ে গিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবারের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন মিললেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে কমিশনের তরফে।
আরও পড়ুনঃ Anubrata-Partha: অনুব্রতর ভবিষ্যৎ ভেবে আশঙ্কায় অসুস্থ পার্থ, বাড়ছে শ্বাসকষ্ট।
ইতিমধ্যেই নিয়োগ নিয় তৎপরতা বাড়য়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আড়াই হাজার পদে নিয়োগের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু করেদিতে চায় রাজ্য। স্কুল ভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।

তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে বদল আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদের জন্য পরীক্ষা হবে পুরোটাই ওএমআর শিটে। তবে প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? সেটা জানানো হবে ওয়েবসাইটে। বাকি ১০ নম্বর হবে ইন্টারভিউতে। তবে বিশেষ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। তবে নিয়গের ক্ষেত্রে যাত কোনও প্রশ্ন না ওঠে সেদিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নিয়োগ নিয়ে আইন দফতরের সম্মতি, শীঘ্রই জট কাটিয়ে নিয়োগ

হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে একেবারে জর্জরিত শাসক দল। সেটা কাটিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, এটা শুধুমাত্র আইওয়াশ।