নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০০৯ সালের প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়েছিলেন কিন্তু পরে তা বাতিল হুয়ে যায়। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু এখনও নিয়োগ অধরা। ১৩ বছর পরেও হয়নি নিয়োগ। প্রদীপের তলায় অন্ধকার থেকে আলো খুঁজতে বুধবার বালিগঞ্জের ডিপিএসসির সামনে ধর্না দেন চাকরি প্রার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ ডবল ইঞ্জিন রাজ্যেই নারীদের উপর বেশি অত্যাচার! শীর্ষে যোগীর রাজ্য
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। অন্য জেলাতে নিয়োগ হলেও এখনও বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। ২০১০ সালের ৪ জুলাই পরীক্ষা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠার পর সেই প্যানেল বাতিল করা হয়। পরবর্তী পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ। সেই পরীক্ষায় পাশ করেন চাকরি প্রার্থীরা। পরে ওই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ হয়েছিল। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য অজানা কারণবে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়।

তাঁদের বক্তব্য, ২০২১ সালে মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নিয়োগ কোনও অজ্ঞাত কারণে আটকে পড়ে থাকে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বারবার মামলার কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৩ বছর পরেও হয়নি নিয়োগ, ধর্নায় চাকরি প্রার্থীরা

চাকরি প্রার্থীদের কথায়, বিচারপতিরা বলছেন মামলা চললেও নিয়োগে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু নিয়োগ আমরা হাতে পাচ্ছি না। অভিযোগ উঠেছে ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্যানেলের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। ৪ হাজারের অধিক ইন্টারভিউ দিয়েছে। জেলায় ১৮৩৬ টি সিট থাকলেও কেন প্যানেল প্রকাশ করা হল না। যতক্ষণ অবধি না প্যানেল প্রকাশ হচ্ছে, ততক্ষণ অবধি ধর্না বিক্ষোভের ঘোষণা করল তাঁরা।