নজরবন্দি ব্যুরোঃ নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে অখিল গিরির মন্তব্য। সমস্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু রাজভবনের সহযোগীতা অভাব বোধ করছেন সমস্ত নেতারাই। এরই মধ্যে সুকান্তর মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হবেন? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ Dilip Ghosh: ও দু’পয়সার নেতা, ‘বাপ’ তুলে অভিষেককে অপমান দিলীপের
এর আগে রাজ্যপাল পদে ছিলেন জগদীপ ধনকড়। একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালকে পাশে পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু এখন উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সেই জায়গায় লা গণেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হ্যেছে। বাংলার পাশাপাশি মণিপুরের রাজ্যপাল তিনি। তাই শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিরোধী দল বিজেপিকে।

এরই মধ্যে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি আমরা নতুন রাজ্যপাল পেতে চলেছি। তিনি জগদীপ ধনখড় সাহেবের যোগ্য উত্তরসূরি হবেন বলে আমার বিশ্বাস। তবে কি বর্তমান রাজ্যপালের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মুরলীধর সেন লেনের নেতারা?
কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়টিকে মোটেই সহজভাবে নেয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সকলের ওপর নজর রয়েছে বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। আবার কখনও বলেছেন, রাজভবনে চা খেতে আসিনি। আবার অন্যদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের যে দ্বন্দ্ব সেটা একপ্রকার ঘুচেছে। কিন্তু এতে সমস্যায় পড়েছে বিরোধী দল।
পরবর্তী রাজ্যপাল কে? ধনকড়ের মতো কেউ?

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের মন্তব্য ছিল, তিনদিন ধরে বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছেন, কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপনাদের জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জগদীপ ধনখড় যখন ছিলেন, তখন নিরপেক্ষভাবে সবাইকে সময় দিতেন। কিন্তু এনার দিক থেকে একটু রিলাকট্যান্ট দেখছি। এরপর সুকান্তর মুখে রাজ্যপাল বদলের কথা শুনে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।