
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিনিয়ত হেভিওয়েট নেতার বাংলা সফরকে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। ভিন রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনের পর বাংলার বাইরে রাজ্যসভায় সুস্মিতা এবং লুইজিনহো, দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাজ্যসভার টিকিট দিল তৃণমূল। তখনই ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্র পুলিশের দুর্ধর্ষ অভিযান, এনকাউন্টারে খতম ২৬ মাওবাদী।
নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, ‘বাংলার মেয়ে’ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার আসন ‘বহিরাগত’ দের দিয়ে নষ্ট করছেন। সুস্মিতা দেবের পর এবার লুইজিনহো ফেলেরিও। বাঙালিরা এই বঞ্চনার জবাব দেবেন না? তৃণমূলের টিকিটে অসম এবং গোয়া থেকে ভোটে জেতার সম্ভাবনা না থাকা এইসব লোকেদের জন্য বাংলা কেন মূল্য দেবে? শুভেন্দুর প্রশ্ন, বহিরাগতদের রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা, বাঙালির কী লাভ?
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে নামলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমায় তা আটকে যায়। পাল্টা পদ্ম শিবিরকে উপড়ে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির দিকে পা বাড়িয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে অসমের সুস্মিতা দেব এবং গোয়ার লুইজিনহো ফেলেরিওকে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের এনে চমক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বহিরাগতদের রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা, বাঙালির কী লাভ? প্রশ্ন শুভেন্দুর।

এরপরেই রাজ্যসভায় সুস্মিতা এবং লুইজিনহো। জাতীয় রাজনীতির দিকে তাকিয়ে লুইজিনহো এবং সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় সদস্য করে মমতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কটাক্ষ করতে পিছপা হচ্ছেন না বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই গোয়াতে লুইজিনহো ফেলেরিওর নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে ত্রিপুরায় পুরভোটে সামনের সারীতে নেমে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে সুস্মিতা দেবকে।
২৪ এর নির্বাচনে কত বড় ভূমিকা পালন করবেন এই দুই হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব? কোন ফর্মুলায় গোয়া এবং অসমে বাড়বে ঘাসফুলের চাষ? এর পিছনে কী পিকে ফর্মুলা? বাকি অভিষেকের মাস্টার প্ল্যান? তা সময় বলে দেবে।