নজরবন্দি ব্যুরোঃ গুয়াহাটিতে থেকে মহারাষ্ট্র সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একনাথ শিন্ডে। সর্বাধিক সংখ্যক বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটিতে থেকেই উদ্ধভ ঠাকরেদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙার পক্ষেই যুক্তি রাখলেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। চাইলে সরকার ভাঙতে রাজি, কিন্তু বিক্ষুব্ধরা এসে কথা বলুক।
আরও পড়ুনঃ TET: প্রাথমিকে শিক্ষকতা করেন? ঋণ নিতে হলে ব্যাঙ্কে দিতে হবে টেট পাশের নথি!
এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, আমরা মহাবিকাশ আগাধি সরকার থেকে সরে যেতে রাজি রয়েছি। তার জন্য তো বিক্ষুব্ধদের মুম্বই এসে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ২১ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, যারা আমাদের সঙ্গেই থাকতে চান। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে নিজে দরকার হলে বর্ষায় আসবেন।
উল্লেখ্য, এই মুহুর্তে ৪১ জন বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটিতে রয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তিনি দাবি করছেন, শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট ছেড়ে দিক। কারণ, হিসাবে বলা হয়েছে, গত আড়াই বছরে সবচেয়ে বেশী ভুগতে হয়েছে সেনার নেতাদের। এমনকি বিক্ষুব্ধদের দাবি গত আড়াই বছর ধরে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি।
গতকালই একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরেকে চিঠি দিয়ে একনাথ শিন্ডে বলেন, এটা বিধায়কদের আবেগের বিষয়। একই অভিযোগ জানিয়ে একনাথের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কখনই অসচিবালয়ে থাকেন না। সর্বদা মাতোশ্রীতেই থেকেছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর আশেপাশের সকলের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে পারিনি। আমরা বারবার একনাথ শিন্ডেকে জানানোর পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাঁদের অভিযোগ, শিবসেনার বিধায়কদের তুলনায় এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিধায়কদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের বিধানসভা থেকে আর্থিক তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগে আদিত্য ঠাকরের অয্যোধ্যা সফরের সময় বিধায়করতা ইচ্ছে প্রকাশ করলেও তাঁদেরকে যেতে দেওয়া হয়নি।
বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে রোখার জন্য এনসিপির সঙ্গ নেবেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে। তিনি জানিয়েছেন, এই গোটা খেলাটা ইডির জন্য শুরু হয়েছে। কংগ্রেস আস্থা ভোটের জন্য তৈরি। আমরা মহাবিকাশ আগাধি সরকারের সঙ্গে ছিলাম, থাকব। যদি শিবসেনা নতুন জোট করতে চায় করতেই পারে।
চাইলে সরকার ভাঙতে রাজি, তবে কী শিকেয় উঠল জোট

এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মহাবিকাশ আগাধি সরকার গঠন করা হয়েছিল। আমরা শেষ অবধি উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে রয়েছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করছি।