শোভন-বৈশাখীর লোক হাসানো মিছিলের গুরুত্ব নেই কোনও, কটাক্ষ রত্নার

নজরবন্দি ব্যুরো: শোভন-বৈশাখীর লোক হাসানো মিছিলের গুরুত্ব নেই কোনও, সোমবার আলিপুর থেকে তারাতলা-টালিগঞ্জ-হাজরা-চৌরঙ্গী হয়ে সেন্ট্রাল এভিনিউ বিজেপি রাজ্য দফতর পর্যন্ত বিশাল মিছিলের আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। আর যার মূল আকর্ষণই হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক মহলের নজর আছে এই মিছিলের দিকে। এদিন কলকাতা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই কলকাতায় মিছিল করবে বিজেপি ।
আরও পড়ুন: ‘রেলের বেসরকারিকরণ’-কে ইস্যু করে সরব শশী পাঁজা।
গতকাল রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক হয় বিজেপি নেতৃত্বের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শঙ্কুদেব পণ্ডা , দেবজিত্ সরকার ও রাকেশ সিং ।
এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মিছিল হবেই। যদিও গতকালই লালবাজার থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা মাথা রেখে এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ১৭ গাড়ি, অসংখ্য ম্যাটাডোর, বিজেপি সমর্থকদের একটা বড় জমায়েতের সম্ভাবনা আছে। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনে অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এই কারণ দেখিয়ে মিছিলের অনুমতি দেয়নি লালবাজার। কিন্তু রাতে বৈঠকের পর বিজেপি নেতৃত্ব জানায়, গাড়ি ও বাইকের সংখ্যা কমানো হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই মিছিল করা হবে। কিন্তু তার পরও মেলেনি অনুমতি।
এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মিছিলকে কটাক্ষ করলেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গত দেড় বছরে কত মিটিং-মিছিল হবে শুনলাম, আবার ভেস্তে যেতে দেখলাম। প্রথমত, শোভন-বৈশাখীর মিছিলের কোনও গুরুত্বই নেই। লোক হাসানো। সবই নাটক।”
শোভন-বৈশাখীর লোক হাসানো মিছিলের গুরুত্ব নেই কোনও, রত্নাদেবী আরও বলেন, “মিছিলের আগেই তো বৈশাখী পালিয়ে গেলো। শুনছি সে নাকি মিছিলে আসবে না। কেন আসবে না, আপনারা খোঁজ নিন। দেখবেন আবার কোনও শর্ত চাপিয়েছে। আর বৈশাখী না গেলে শোভনবাবু শেষ পর্যন্ত যাবেন কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত মিছিল হয় কিনা দেখুন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।”