নজরবন্দি ব্যুরোঃ কলকাতার জনবহুল বাজারে র্যাপিড টেস্ট; আধ ঘন্টায় মিলল ৫ আক্রান্তের খোঁজ! গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ২৫০০-২৭৫০ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্য জুড়ে। সবথেকে পরিস্থিতি খারাপ কলকাতার। কলকাতায় লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমন সাথে মৃত্যু। তাই কলকাতা পুরসভা জনবহুল এলাকা এবং বাজারে গুলিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করেছে। আজ সেই টেস্ট হয় পাতিপুকুর বাজারে। এই বাজারে দিনে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ আসা যাওয়া করেন।
আরও পড়ুনঃ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ছাদ থেকে ঝাঁপ, মৃত্যু করোনা পজিটিভ ব্যাক্তির।
এই জনবহুল বাজারে এদিন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ কর্মীরা পৌঁছে যান র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট নিয়ে। ক্রেতা বিক্রেতা থেকে শুরু করে বাজারে উপস্থিত থাকা মানুষজন কে টেস্ট করা শুরু হয়। প্রথম আধঘন্টায় ৬০ জনের টেস্ট করা হয়। কিন্তু যে রেজাল্ট এসেছে ট্যাঁ মোটেই স্বস্তিজনক নয়। প্রথম আধ ঘন্টার মধ্যেই পাতিপুকুর বাজারে ৫ জন সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া যায়। যাঁদের মধ্যে ২ জনের শরীরে কোভিডের কোন উপসর্গই নেই। এই ঘটনা আরও চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি শান্তন্য সেন জানিয়েছেন, “উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, যাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোবেন না কয়েকদিন।”
উল্লেখ্য গতকাল বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন ২ হাজার ৯১২ জন। যা নিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৬১৫। এই বিপুল আক্রান্তের মধ্যে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫ হাজার ৪৮৬ জন। যা আগের দিনের থেকে ৮৩৪ জন বেড়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫ জনের। মৃত ২ হাজার ৫ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন ৫১ জন। উল্লেখ্য গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৬৪ জন। এদিনের ২ হাজার ৬৪ জন কে নিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫ হাজার ১২৪ জন।
বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে মোট ২৫ হাজার ১৪৮ টি। যা নিয়ে রাজ্যের মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৫৭ টি। রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষ পিছু টেস্ট হয়েছে ১১ হাজার ৯৯৬ জনের। প্রতি ১০০ টি স্যাম্পেল টেস্ট পিছু রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮.৫৮ শতাংশ। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭০.৩২% মানুষ। রাজ্যের করোনা আতঙ্কের মধ্যে স্বস্তির জায়গা এই সুস্থতার হার।