নজরবন্দি ব্যুরোঃ শুনানির আগে আপার নিয়োগ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। কদিন আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন সচেষ্ট হয়েছে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি ঘটানোর জন্যে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন রাখা হয় উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলা নিয়ে একটি স্পেশাল কোর্ট বসানোর। সেই মতই আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাত শুনানি হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। অন্যদিকে চলতি বছরেই নিয়োগের ইশারা করেছে কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে ১৪ হাজার পদের সাথে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ হাজার শূণ্যপদ।
আরও পড়ুনঃ চাই WBHS স্বাস্থ্যসাথী চাইনা, একজোট রাজ্যের সব শিক্ষক সংগঠন।
কদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি পর্বে আদালত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। মামলায় কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগের অনুমতি চাইলে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম, সুবীর সান্যাল এবং দিব্যেন্দু চ্যাটার্জিরা কমিশনের তীব্র বিরোধিতা করেন। আগামিকাল কলকাতা হাইকোর্টে যখন এই অতি গুরুত্বপুর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে তাঁর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য সামনে এল।
শুনানির আগে আপার নিয়োগ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে এদিন একটি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় নিয়োগ এবং মামলা নিয়। শিক্ষামন্ত্রী উত্তরে বলেছেন, আমরা আপারের মেরিট লিস্ট প্রকাশ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মামলা করার জন্যে পাঁচ বছর ধরে বঞ্চিত হচ্ছে সবাই। এখন আদালতের রায় আসার সাথেসাথেই নিয়োগ করা হবে।
জানা গিয়েছে পুজোর আগে উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে কমিশন। সূত্র জানাচ্ছে পুজোর আগে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত ছিল। কিন্তু মেরিট লিস্টে অসঙ্গতির কারন দেখিয়ে কয়েকটি মামলা হওয়ায় সেগুলি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ করা যাচ্ছেনা। সূত্র কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন শিক্ষামন্ত্রী আগেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে আদালতের রায় আসার জন্যে। তাই আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে স্পেশাল কোর্ট বসানোর জন্যে। সূত্র কে নজরবন্দির তরফে জানতে চাওয়া হয় যদি আদালতের রায় মামলাকারীদের পক্ষে যায় সেক্ষেত্রে সেই রায় কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার অন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা। সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও সূত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন পুজোর আগে নিয়োগ করাই তাঁদের লক্ষ্য, অপেক্ষা শুধুমাত্র আদালতের চূড়ান্ত রায়ের।