নজরবন্দি ব্যুরো: যত দিন এগোচ্ছে, ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে পাকিস্তানের। মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ গ্রাস করছে গোটা দেশকে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক যে, গত পাঁচ দশকে দেশে সর্বোচ্চ গিয়ে ঠেকল মুদ্রাস্ফীতির হার। মার্চ মাসে পাকিস্তানে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৫.৩৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
আরও পড়ুন: কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, জানাল রেল কর্তৃপক্ষ
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্য়ের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ হচ্ছে। ঋণ দেবার জন্য পাক সরকারের আর্জি খারিক করেছে আইএমএফ। আর এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্গত দু’টি সংস্থার তরফে আশঙ্কাজনক রিপোর্ট প্রকাশ করে বলা হয়েছে কয়েক মাসেই ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দেবে পাকিস্তানে।
একাধিক আফ্রিকান দেশের পাশাপাশি ওই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত ইতিমধ্যেই খাদ্যের অভাবে ধুঁকছে স্থানীয় মানুষ। কারণ বিদেশি মুদ্রার অভাবে খাদ্য আমদানি করতে পারছে না পাক প্রশাসন।
সেই সঙ্গে হু হু করে খাবারের দামও বাড়ছে। ফলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই কার্যত দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়বেন পাকিস্তানের অন্তত ৮৫ লক্ষ মানুষ। তবে দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়েও আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার।
দুর্ভিক্ষের পথে পাকিস্তান! আশঙ্কাজনক রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা
তাঁর মতে, দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলা হয়েছে। তবে তার সুফল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।