কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, জানাল রেল কর্তৃপক্ষ
kavach system would not have saved coromandel express

নজরবন্দি ব্যুরো: ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল গোটা দেশ। মৃত্যু মিছিল যেন আর থামার নামই নিচ্ছিল না। এখনও এমন শতাধিক মানুষ আছে যাদের পরিচয় জানা যায়নি। যদিও নিজেদের দিক থেকে তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে ওড়িশা সরকার। কিন্তু রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন! আর সেই প্রশ্ন গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, ‘কবচ’ পদ্ধতি কি বাঁচাতে পারত না করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে?

আরও পড়ুন: Visva Bharati: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী! ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যাপক

এবার এই ‘কবচ’ পদ্ধতি নিয়ে মুখ খুলল রেল কর্তৃপক্ষ। জানিয়েদিল কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না! অনেকেই প্রথম থেকে মনে করেছিলেন যে, রেলের দুর্ঘটনারোধী প্রযুক্তি ‘কবচ’ এই ট্রেনগুলিতে থাকলে হয়তো বিপর্যয় কিছুটা এড়ানো যেত। কিন্তু সেই বিষয়ে রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য জয়া বর্মা সিন্‌হা স্পষ্টই জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে অন্যতম চালকের সিগন্যাল বোঝার ভুল। আর যখন কোনও চালক সিগন্যাল না দেখে ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যান, সেই সময় ‘কবচ’ সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা ছিল না। এ ক্ষেত্রে চালক সিগন্যাল পড়তে ভুল করেননি। তবে সিগন্যালের ত্রুটিই কারণেই এই ঘটনা।

কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন
কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন

অন্যদিকে, বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টেও। ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্তে দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে বালেশ্বরের দুর্ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই রকমের দুর্ঘটনা এড়াতে ভারতীয় রেলের প্রতিটি ট্রেনে কবচ বাধ্যতামূলক করার দাবিতেও শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন

প্রসঙ্গত, বিভীষিকাময় শুক্রবার রাত! মুহূর্তের মধ্যেই সব তছনছ হয়ে গেল। শয়ে শয়ে মানুষ তাঁদের পরান হারাল। করমণ্ডলে প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি ১১০০-রও বেশি যাত্রী। সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে, যাদের পরিবারের লোকজনেরা ওই এক্সপ্রেসে ছিলেন, তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন অনেকেই। এহেন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ পেতেই ওড়িশা সরকারের তরফে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।

কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন

কবচ থাকলেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না, রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছিল একাধিক প্রশ্ন