নজরবন্দি ব্যুরোঃ ডিসেম্বরেই বাজারে করোনা ভ্যাকসিন! শিলমোহর পড়তে চলেছ বিশ্বের সবথেকে কার্যকর করোনা টিকায়। ২০২১ সাল শুরুর আগেই বাজারে আসতে পারে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন। যাবতীয় চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা জানিয়েছে সব রকম পরীক্ষা সাফল্যের সাথে উতরেছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, “MHRA তদন্তের পর ফের ট্রায়াল চালুতে অনুমতি দিয়েছে কোভিশিল্ড এর। জানা গেছে টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
আরও পড়ুনঃ আবার হাথরসের পথে কংগ্রেস, হাল ছাড়ছেন না রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
ডিসেম্বরেই বাজারে করোনা ভ্যাকসিন! তিন মাসের মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকায় শিলমোহর দিতে পারে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট ও সেফটি ট্রায়ালের ডেটা দেখেই বাজারতে টিকা নিয়ে আসার ব্যাপারে সম্মতি দেবে ইউরোপিয়ান মেডিসিন অ্যাজেন্সি (ইএমএ)। অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, টিকার ট্রায়ালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটিশ সরকার। প্রাপ্তবয়স্কদের ট্রায়াল শেষ হয়ে যাবে তিন মাসের মধ্যেই, শিশুদের ওপর ট্রায়াল পরে হবে। সব ঠিক থাকলে ২০২১ শুরু হওয়ার আগেই করোনার টিকা আত্মপ্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য আমেরিকাতে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা। কিন্তু ট্রায়ালের মাঝেই এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রায়াল। সেচ্ছাসেবিকা টিকা নেওয়ার পরে তাঁর শরীরে স্নায়বিক রোগের লক্ষণ দেয়। তবে এখন তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসকদের দাবি তিনি ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস (Transverse myelitis) রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মেডিসিনস হেলথ রেগুলেটরি অথরিটি (MHRA) এই টিকা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়ার পর ফের ভরসা জেগেছে সমগ্র বিশ্ববাসীর মধ্যে। ওই ওষুধ পরীক্ষার পর জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড সম্পূর্ণ নিরাপদ।
অন্যদিকে রাশিয়া দেশের জনগনের ওপর প্রয়োগের জন্য তাঁদের তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ছাড়পত্রও দিয়ে দিয়েছে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ জনসাধারণের প্রয়োগের জন্য খুলে দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এক বিবৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নির্মিত ‘গ্যাম-কোভিড-ভ্যাক’ স্পুটনিক ভি সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে উতরেছে।
পুতিন সরকার আশাপ্রকাশ করছে, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই বেশিরভাগ দেশবাসীর করোনা-টিকাগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রাথমিক ভাবে টিকা দেওয়া হবে করোনা যোদ্ধা এবং সংক্রামিত এলাকায়। এরপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশের কোনে কোনে।উল্লেখ্য স্পুটনিক ৫ এর দুই ভার্সান এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব বন্দিত মেডিক্যাল জার্নাল দ্যা ল্যানসেট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। ল্যানসেট জার্নালের রিপোর্ট বলছে, করোনা সামলাতে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনই এখন আশার আলো। প্রথম দফার পরীক্ষায় কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি গঠনে সফল রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’।