নজরবন্দি ব্যুরোঃ একের পর এক দলত্যাগী, দিলীপের জেলাতেই রাজ্য বিজেপি যেন গড়ের মাঠ। রাজ্যে নির্বাচনের আগে একের পর তৃণমূলত্যাগী নেতাদের দুহাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নেওয়া থেকে ২০০ র বেশী আসন পাওয়ার সদর্প ঘোষণা, ভোটের ফলাফলে মুখ থুবড়ে পড়ার পরেই রাজ্যে বিজেপির বসন্ত অতীত হয়েছে। একের পর এক দলবদল করে আসা নেতারা লজ্জা ত্যাগ করেই ক্ষমা চেয়ে ফিরতে চেয়েছেন তৃণমূলে। সোনালি গুহ, দিপেন্দু বিশ্বাস, সরলা মুরমু থেকে বাচ্চু হাঁসদা তালিকা লম্বা হয়েই চলেছে। আর যারা দলে রয়েছেন তারাও অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছে নিজেদের। বিধায়ক পদের আশায় ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীরা হারের পরেই কার্যত নিজেদের ঘরবন্দি করে নিয়েছে। জয়ী প্রার্থীদেরও বিশেস দেখা যাচ্ছে না দলের আলোচনাসভা বা বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ ইয়াস প্রভাব কাটিয়ে ক্রমশ নামছে বাজার দর! দাম কমেছে মাছ-মাংস-শাক সব্জির।
দলত্যাগির তালিকায় নবতম সংযোজন বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সভাপতি উত্পল দাস মহাপাত্র। তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা তো দিয়েইছেন, সঙ্গে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে জেলার ৪টি আসনেই বিজেপি এগিয়ে থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা দখল করতে পারেনি একটিও আসন।
রাজ্য সভাপতির জেলায় দলের এহেন পারফরমেন্সে হতাশ দলের জেলার নেতারাও। তারই মধ্যে দল ছাড়লেন উত্পলবাবু। উত্পলবাবু জানিয়েছেন, “অনেকদিন ধরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে ভাবছিলাম। তবে নানা কারণে পিছিয়ে যাই। দলের অন্দরে বারবার শুদ্ধিকরণের কথা বলেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। আর হবে বলেও মনে হয় না। দলের অন্দরে গোষ্ঠীবাজি মাথা তুলেছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় দীর্ঘদিনের স্বজনপোষণ ও লবির ফল আজ দলের কর্মীদের পেতে হচ্ছে। আগেই দল ছাড়তে চেয়েছিলাম। তবে দেরিতে হলেও পদ ও দল ছাড়লাম। ব্যক্তিগতভাবে মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যাব।”
একের পর এক দলত্যাগী, দিলীপের জেলাতেই রাজ্য বিজেপি যেন গড়ের মাঠ। একের পর এক দলত্যাগীদের ফলে এখন দলের সংগঠন ধরে রাখাই কঠিন হয়ে উঠছে রাজ্য বিজেপির পক্ষে।