নজরবন্দি ব্যুরোঃ রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নয়। কেএমডিএর আর্জি খারিজ করল গ্রিন ট্রাইবুনাল। গ্রিন ট্রাইবুনাল গত বছরেই নির্দেশ দিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর লেকে ছটপুজো করা যাবে না। ফলে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল ২০১৯ সালে। তার এক বছর আগে গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশেই বিশেষজ্ঞ দল ২০১৮ সালের ছটপুজোর পর দিন জলের নমুনা সংগ্রহ করে। তাতে ব্যাপক দূষণ ধরাপড়ে। পাশাপাশি বাতাসেও কার্বনের মাত্রা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করেছে চিন। রাজনাথের স্বীকারোক্তি সংসদে!!
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ করে পরিবেশ আদালত। নির্দেশ কিছুটা অমান্য করেই ছটপুজো হয় সেবার। পরিবেশ আদালতের নির্দেশে গেটে পুলিশ পিকেট বসলেও বাইরে ভিড় করেন হাজার খানেক মানুষ। হয় ব্যাপক গণ্ডগোল। তাই এবার যাতে কোন গণ্ডগোল না হয় সেজন্য গ্রিন ট্রাইবুনাল অর্থাৎ পরিবেশ আদালতে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি তথা কেএমডিএ আবেদন করেছিল যাতে শর্তসাপেক্ষে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া হয়।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নয়। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি তথা কেএমডিএর সেই আবেদন আজ খারিজ করে দিয়েছে পরিবেশ আদালত। গ্রিন ট্রাইবুনাল জানিয়েছে কোনভাবেই রবীন্দ্র সরোবর লেকে ছট পুজার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যদিও আবেদন খারিজ হলেই দমছে না কেএমডিএ। কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
আজ কলকাতা পুরোসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “ছটপুজোয় বহু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ রয়েছে। তাই আমরা গ্রিন ট্রাইবুনালের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম যাতে শর্ত সাপেক্ষে ছটপুজোয় অনুমতি দেওয়া হয়। এবার সুপ্রিম কোর্টে যাব।”