নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করেছে চিন। চিন ভারতের কতটা জমি দখল করেছে তা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিলেন রাজনাথ সিং। আজ রাজ্য সভায় লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেখানেই তিনি স্বীকার করে নেন যে চিন ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে নিয়েছে। এদিন রাজনাথের বক্তব্যের সাথে এর আগে করা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কোন মিল নেই।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে প্রতিবাদ বেকারদের। মোদির জন্মদিনে ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’ পালন।
লাদাখ পরিস্থিতিতে কদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন ভারতের কোন পোস্ট দখল হয়নি এবং ভারতের সীমা পেরিয়ে কেউ এদেশে ঢোকেনি! সেই বক্তব্যের রেশ এখনও চলছে দেশের রাজনীতিতে। দেশের সীমা ছাড়িয়ে মোদীর বক্তব্য সমালোচিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এবার রাজনাথের বক্তব্য সেই সমালোচনায় সিলমোহর দিল।
আজ রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “চিন এখনও বেআইনিভাবে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে রেখেছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তান তথাকথিত শিনো-পাকিস্তান এলাকা থেকে আরও ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটার চিনের হাতে তুলে দিয়েছে। এসব ছাড়াও চিন ভারতের দখলে থাকা আরও ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমিকে নিজেদের জমি বলে দাবি করে।”
পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা। আগের থেকে অনেক বড় এলাকা নিয়ে বিবাদ। এর সঙ্গে অনেক বেশি সেনাবাহিনীও জড়িয়ে। আমার এখনও সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। কিন্তু চিন ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তিকে সম্মান করছে না। যতদিন শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের সীমানা নির্ধারণ না হচ্ছে, ততদিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে আমাদের সম্মান করতেই হবে।”
একদিকে রাজনাথ সিং যখন রাজ্যসভায় এইকথা বলছেন তখন অন্যদিকে নেপাল নৈনিতাল এবং দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করছে এদিন। অর্থাৎ রাজনাথ সিং এর স্বীকারোক্তির দিনে ফের নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হল নেপালের দাবিকে ঘিরে।